মধ্যপ্রদেশ: ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা (Train Accident)। মুখোমুখি সংঘর্ষ দুটি মালগাড়ির (Goods Train)। উল্টে পড়ে ইঞ্জিন-সহ একাধিক কামরা। দুটি ট্রেনের ইঞ্জিনেই আগুন ধরে যায়। ঘটনায় একজন মালগাড়ির চালক মারা গিয়েছেন, অপরজন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। দুইজন রেলকর্মীও আটকে পড়েছেন ইঞ্জিনের ভিতরে। তাঁদেরও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বুধবার সকালে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) সিংপুর রেলওয়ে স্টেশনের (Singhpur Railway Station) কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট নাগাদ মধ্য প্রদেশের শাহদোলের দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলওয়ের বিলাসপুর জোনে সিংপুর রেলওয়ে স্টেশনে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি মালগাড়ির। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যায় দুটি মালগাড়ির ইঞ্জিনই। একটি মালগাড়ির তিনটি বগিও উল্টে গিয়েছে। সংঘর্ষের পরই দুটি ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনায় একটি মালগাড়ির লোকো পাইলটের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত অপর মালগাড়ির চালকও। দুইজন রেলকর্মীও দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির ভিতরে আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার জেরে বিলাসপুর-কাটনি রুটে রেল চলাচল ব্যহত হয়েছে।
আরও পড়ুন:Kolkata Metro | কবি নজরুল থেকে গীতাঞ্জলি আপ মেট্রো লাইনের পিলারে ফাটল
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই আগুন নেভানো ও উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে রেল। দু’টি মালগাড়ি একই লাইনে কী ভাবে চলে এল? ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে কোনও অন্তর্ঘাত? খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, লাইনের সিগন্যালিংয়ে ভুল হওয়ার কারণেই এক লাইনে চলে আসে দুটি মালগাড়ি। দুটি ট্রেনেরই গতি বেশি থাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
অন্যদিকে চলতি মাসেই প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে কেরালা। ২৫ এপ্রিল এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে ১৫ তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু করতে চলেছে কেন্দ্র। কেরালার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস কতদূর পর্যন্ত যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অবশ্য জানিয়েছেন, “কাসারগোড পর্যন্ত যাবে এই সেমি হাই স্পিড ট্রেন। প্রথম অবশ্য তিরুঅনন্তপুরম থেকে কুন্নুরের মধ্যে এই ট্রেন চালাবো হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল।” রেলমন্ত্রীর কথায়, “প্রথম দফায় কাসারগোড থেকে তিরুঅনন্তপুরম পর্যন্ত রেল লাইন বদলে ফেলা হবে। এর জন্য ৩৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজ হয়ে গেলে এই ট্র্যাক দিয়ে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে যেতে পারবে ট্রেন।”