কলকাতা: ভারতবর্ষ (Temple) একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন দেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে সভ্যতার নানা নিদর্শন। রয়েছে নানা ধর্মীয় স্থান, দেব-দেবীর মন্দির (Temple)। পুণ্য অর্জনের আশায় অনেকেই সেই সমস্ত মন্দিরে গিয়ে মাথা ঠুকে আসেন৷ কিন্তু আপনি কি জানেন আমাদের এই দেশের মাটিতেই এমন একজনের মন্দির আছে যার আশীর্বাদ পেতে হলে ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোকের ভাবনা ভাবতে হবে।
দিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলায় ভারমোর এলাকায় রয়েছে যমরাজের মন্দির (Yamraj Temple)। ভারমোর এলাকার এই প্রাচীন মন্দিরটি ভারতের মাটিতে যমরাজের একমাত্র মন্দির। ধর্মেশ্বর মহাদেব মন্দির নামেই এটি পরিচিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে যমরাজ হলেন মৃত্যুর দেবতা। মন্দিরের আশেপাশের মানুষজনের বিশ্বাস, মৃত্যুর পর এই মন্দিরেই মৃত ব্যক্তির আত্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় যমরাজের। এখানে বসেই তাঁদের বিচার করেন যমরাজ।
এখানকার বাসিন্দারা বিশ্বাস করেন যে, মন্দিরের স্বয়ং যমরাজ বাস করেন এবং তার সাথে মানুষের কাজ কর্মের হিসাব রক্ষক চিত্রগুপ্তও থাকেন। তাঁর কাজ হল, জীবদ্দশায় মানুষের পাপপুণ্যের হিসাব রাখা। শোনা যায়, এই মন্দিরটি পাহারা দেয় দুটি চার চোখওয়ালা কুকুর, যারা যমরাজেরই পোষ্য। এমনকী যমরাজের এই ঘরের চারদিকে রয়েছে চারটি অদৃশ্য দরজা যেগুলি সোনা, রুপো, তামা আর লোহায় তৈরি। যমরাজ ফয়সালা শোনানোর পরে যমদূত এসে কর্মফল অনুযায়ী, এই চারটি দরজার একটি দিয়ে আত্মাকে স্বর্গ বা নরকে নিয়ে যায়। গরুড় পুরাণেও অবশ্য যমরাজের দরবারের চারদিকে এমনই চারটি দরজার কথা উল্লেখ আছে।
আরও পড়ুন:Gaatchora | বিন্দির সঙ্গে ‘গাঁটছড়া বাঁধছে ঋদ্ধিমান, সিরিয়াল বয়কটের ডাক দর্শকদের
মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে নানা রোমহর্ষক কাহিনী রয়েছে। বলা হয়, মন্দিরের ভিতর নাকি একটি শূন্য প্রকোষ্ঠ রয়েছে। সেখানে নাকি স্বয়ং যমরাজের শাসন চলে। এই প্রকোষ্ঠে একবার কেউ প্রবেশ করলে সে আর জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসে না। এর আগে কেউ কেউ নাকি সাহস করে এখানে ঢুকেছিলেন, পরের দিন তাঁদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। তবে, এইসব কাহিনী যে বিজ্ঞানসম্মত নয়, তা বলাই বাহুল্য। বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে যমরাজের এই মন্দির বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ভক্তদের কাছে।