কলকাতা: প্রতিদিনই জল নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ বিধায়কদের। সেই তালিকায় সরকারি দলের বিধায়করা আছেন। আছেন বিরোধী দলের বিধায়করাও। এলাকায় জলের সমস্যা। একের পর এক অভিযোগ। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়কে নির্দেশ দেন বিধানসভার অলিন্দে একটি কমপ্লেন বক্স বসান। বিধায়কদের বলেন, যার যা অভিযোগ লিখে সেই কমপ্লেন বক্সে ফেলে দেবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। সঙ্গে সঙ্গে বসলো কমপ্লেন বক্স। বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর খোলা হয় বাক্স। দেখা যায় মাত্র দশটা চিঠি জমা পড়েছে। তাহলে এত অভিযোগ কিন্তু দশটা চিঠি কেন? উত্তর মেলেনি। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।
এদিকে বিধানসভায় সবার জন্য পেয়ারা এনেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় যখন দুই দলের মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে, স্লোগান পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা, সেই সময় অধ্যক্ষকে মাইকে বলতে শোনা যায় আপনাদের জন্য বারুইপুরের পেয়ারা এনেছি। আপনারা সবাই নিয়ে যাবেন। অধ্যক্ষের কথা মতো পেয়ারা পৌঁছে যায় বিধায়কদের হাতে। একেই বারুইপুরের পেয়ারা। দুটো, তিনটে এমনকি চারটে পর্যন্ত পেয়ারা নিয়ে সবাই ব্যাগে ভরেছেন। কিন্তু গোল বাঁধান বিজেপির বিধায়করা। তাঁরা অধ্যক্ষকে দেওয়া পেয়ারা নিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের বক্তব্য, অধ্যক্ষ আমাদের বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করে রেখে দিয়েছেন। তারপরে আমরা পেয়ারা খাব কোন মুখে। ফলে পেয়ারা বয়কটের পথে হাঁটেন বিজেপি বিধায়করা।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আড়ালে রেলে চাকরির নামে প্রতারণা!
মনোজ টিজ্ঞার বক্তব্য, আমাদের নেতাকে সাসপেন্ড করবে। আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দেবে, আর আমরা পেয়ারা খাব। নিতে পারব না। তবে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর বক্তব্য, ভালোবেসে দিয়েছেন নেব না কেন। এটাই তো সৌজন্য। মামলার সঙ্গে পেয়ারা খাবার কী সম্পর্ক? তবে বিজেপি বিধায়করা কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন কোনও সৌজন্য রাজনীতিতে তাঁরা আপাতত নেই। যদিও অধ্যক্ষের ঘর থেকে জানানো হয়েছে বিজেপি পেয়ারা বয়কট করলেও বেশ কয়েকজন বিধায়ক চুপি চুপি তাঁদের ঘর থেকে পেয়ারা নিয়ে গিয়েছেন।
আরও খবর দেখুন