হাওড়া: ধান কেনায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া, অঙ্কিত রাইস মিলের বিরুদ্ধে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনল স্থানীয়রা। জমি না থাকলেও ধান বিক্রির টাকা ঢুকত বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্টে। ধান কেনায় অ্যাকাউন্ট ভাড়া। কৃষক নয় এমন ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট ভাড়া। অঙ্কিত রাইস মিলের (Ankit Rice Mills) বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ধান কেনার টাকা পড়ত ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে। সামান্য টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়া হত। এজেন্ট মারফত গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকত টাকা।
উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের প্রায় ৫ থেকে ৬টি গ্রামের মানুষের অভিযোগ, বিভিন্ন এজেন্ট মারফত গ্রামের সাধারণ মানুষদের থেকে তাদের নথিপত্র নিয়ে ব্যাঙ্কের একাউন্ট খোলায়। সেইসব অ্যাকাউন্টে বছরে টাকা ঢুকত ধান বিক্রির। কারও অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার বা কার অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজারেরও বেশি টাকা ঢুকতো। জমি না থাকলেও বা ধান চাষ না করলেও প্রতি বছর তাদের একাউন্টে টাকা ঢুকত। বিভিন্ন এজেন্ট মারফত এইসব অ্যাকাউন্ট খোলা হত বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তার বিনিময়ে বিভিন্ন এজেন্ট মারফত সামন্য কিছু টাকা পেত সেইসব ব্যক্তিরা। অভিরামপুর শ্রীরামপুর সুমদা সমবায় সমিতির মাধ্যমে ধান কেনা হত।
আরও পড়ুন: ইডির তলব জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাসকে
অঙ্কিত রাইস মিল গ্রামবাসীদের প্রলোভন দেখিয়েছিল যে তারা বাঙ্কের অ্যাকাউন্ট করলেই টাকা পাওয়া যাবে।
আর সেই গ্রামবাসীদের অ্যাকাউন্টে ঢুকত রেশন দুনীতি টাকা এমনটাই অভিযোগ। কারও অ্যাকাউন্টে ২০ হাজার বা ৫০ হাজার টাকাও ঢুকত। সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশ বইগুলি অঙ্কিত রাইস মিলে কাছে জমা থাকতে বলে অভিযোগ। রাইস মিলের এজেন্টদেরও দাবি, মিলের কথা অনুযায়ী তারা এই কাজ করেছে।
আরও অন্য খবর দেখুন