পূর্ব বর্ধমান: বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বিধবাদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে (Banglar Bari Project) দুই কিস্তিতে সুবিধাপ্রাপকদের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যেখানে ডেভেলপমেন্ট ফি আদায়ের অভিযোগ! আবাস যোজনার (Awas Yojana) ৯ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাওয়ার এক হাজার টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতে দিতে হচ্ছে। ঘটনায় প্রকাশ হতেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক ও জেলা প্রশাসন। তদন্তের মুখে পঞ্চায়েত। জানা গিয়েছে, দুই অসহায় বিধবা মহিলার কাছ থেকে রশিদ কেটে উন্নয়ন ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দুর্গাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat Memary) বিরুদ্ধে। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন আলিপুর গ্রামের সরস্বতী তুরি ও সবিতা দাস। স্বামী সন্তানহীন সরস্বতী দেবী লোকের বাড়িতে কাজ করে মাটির ভাঙা বাড়িতে কোনওরকমে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে, সবিতা দেবী বিবাহযোগ্য কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে ভাঙা বাড়িতে কোনওক্রমে সংসার চালান।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির ৬০,০০০ টাকা পেয়েছিলেন তাঁরা। তবে এরপর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে রশিদ কেটে ১,০০০ টাকা করে আদায় করেছে বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ মেমারি ১ নম্বর ব্লকের অন্যান্য পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও উঠেছে, যেখানে প্রাপকদের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা বাড়িতে এসে বলে যাচ্ছেন, ১০০০ টাকা পঞ্চায়েতে জমা না করলে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না। একপ্রকার বাধ্য হয়েই পঞ্চায়েতে এক হাজার টাকা করে জমা করছেন সুবিধাভোগীদের। আবার টাকা জমা দেওয়ার পর রশিদও দেখা হচ্ছে। সেই রশিদে লেখা হচ্ছে ডেভলপমেন্ট চার্জের জন্য ১০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ,৩ ধৃত বাংলাদেশি সহ ১ দালাল
উপপ্রধান নিতাই ঘোষের দাবি, প্রাপকদের কাছ থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। তবে সাংবাদিকদের চাপের মুখে তিনি স্বীকার করেন, বাড়ির পারমিশন বা বাস্তু জমির শ্রেণি পরিবর্তনের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত এই টাকা নেওয়ার কোনও আইনি অধিকার রাখে না। তাঁর বক্তব্য, এই টাকা ডোনেশনের মাধ্যমে পঞ্চায়েতের আনুষঙ্গিক খরচ মেটাতে নেওয়া হয়েছে। তবে সরাসরি অভিযোগকারীরা এবং সংবাদমাধ্যমের ফুটেজে স্পষ্ট হয়েছে, এই অসহায় মহিলাদের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই প্রশাসনের নজরে এসেছে এবং মেমারি ১ নম্বর ব্লকের সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্য খবর দেখুন