ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের (Israel-Iran War) ভয়াবহতা তাতে শঙ্কিত বিশ্ব। ইরানের পরমাণু কেন্দ্র তছনছ করে দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার ‘B-2 স্পিরিট স্টেলথ’ (Americas B2 Spirit Stealth Aircraft) বোমারু—মার্কিন সেনা বাহিনীর প্রিমিয়াম বিমান। শনিবার রাতে এই B-2 স্পিরিট স্টেলথ বোমারু নিয়েই ইরানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। ফোরদো, নাতানজ় ও ইসফাহানের পরমাণু কেন্দ্র গুঁড়িয়ে তছনছ করে বিয়েছে মার্কিন সেনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধে তাণ্ডব চালিয়েছে B-2 স্পিরিট। ১৯৯৯ সালে কসোভো যুদ্ধ, ২০০১ সালের আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধ অন্যতম।
অত্যাধুনিক বোমারু বিমানের মাধ্যমে ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, “এখন শান্তির সময়।” যদিও একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানের যদি আগ্রাসী মনোভাব বজায় থাকে, তাহলে আরও ভয়াবহ হামলা চালানো হবে। আমেরিকার এই সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) এই সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন: “ইতিহাস মনে রাখবে,” ট্রাম্পের প্রশংসায় আর কী বললেন নেতানিয়াহু?
শনিবার রাতের হামলার লক্ষ্যগুলোর একটি ছিল ফোর্দো, ইরানের দূরবর্তী পাহাড়ি এলাকার ভেতর লুকানো একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘বাংকার বাস্টার’ নামে এমন একটি বড় ও শক্তিশালী বোমা আছে যা ফোর্দো ধ্বংস করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই মার্কিন বোমার নাম জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর এমওপি – এর ওজন ১৩ হাজার কেজি , এবং এটি বিস্ফোরণের আগে প্রায় ১৮ মিটার কংক্রিট বা ৬১ মিটার মাটি ভেদ করতে পারে বলে। মার্কিন কর্মকর্তারা সিবিএস-কে নিশ্চিত করেছেন, এই হামলায় এমওপি ব্যবহার করা হয়েছে, এবং প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুর জন্য দুটি করে বোমা ফেলা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও