ঢাকা: আসছে ২০২৫। নতুন ইংরেজি বছরকে স্বাগত জানাতে তৈরি গোটা বিশ্ব। বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের (New Year Celebration) জন্য নানা দেশে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। এর মাঝেই বর্ষবরণ নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন সৈকত (Sea Beach) গন্তব্যে এবার ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’-এর সবরকম অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি, সমুদ্র সৈকত লাগোয়া যেকোনও স্থানে বাজি পোড়ানোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে খবর সামনে এসেছে। অর্থাৎ, পালাবদলের পর এবার বাংলাদেশের নাগরিকদের আনন্দ-উৎসবের উপরেও রীতিমতো ‘ফতোয়া’ জারি করছে সরকার।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দেশের প্রসিদ্ধ সৈকত নগরী কক্সবাজার (Cox’s Bazar) এবং টেকনাফ (Teknaf) সহ একাধিক এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই বিষয়ে কক্সবাজারের জেলাশাসক মহম্মদ সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে দেশের সৈকত পর্যটনকেন্দ্রগুলির উন্মুক্ত স্থানে কোনওরকম কনসার্ট বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবেনা। এছাড়াও তিনি বলেন, সৈকত লাগোয়া এলাকায় বাজি পোড়ানোর উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বেশ কয়েকটি নামি হোটেলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে বিএনপি! হুঁশিয়ারি মহাসচিবের
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কক্সবাজার বা টেকনাফের মতো সমুদ্র সৈকত লাগোয়া পর্যটন স্থানগুলিতে ইংরেজি নববর্ষের অনুষ্ঠান ছিল ব্যপক জনপ্রিয়। লক্ষাধিক দেশি ও বিদেশি পর্যটক ভিড় জমাতেন সেখানে। শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এইসব অনুষ্ঠানের উপর কোনওদিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বরং, দেশের প্রশাসনের সহযোগীতায় বিভিন্ন কনসার্ট ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বর্ষবরণের সেলিব্রেশনের উপর জারি হল নিষেধাজ্ঞা, যা নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
দেখুন আরও খবর: