কলকাতা: ‘দ্রোহের কার্নিভালে’ (Dharmatala Droher Carnival) ধর্মতলায় (Dharmatala) জনসমুদ্র। এদিকে এদিন কলকাতায় দুর্গাপুজোর কার্নিভালও ছিল। ফলে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। দ্রোহের কার্নিভালের সামিল হতে কাতারে কাতারে মানুষ রাস্তায় নেমেছে। জেরে বিকাল থেকে ডোরিনা ক্রসিং চত্বরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অফিস টাইমে বাড়ি ফেরার পথে যানজটের মুখে পড়েন নিত্য়যাত্রীরা। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। এদিকে ধর্মতলা চত্বরে মানববন্ধনে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ধর্মতলা চত্বরে।
১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। ৬ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শুধু কলকাতায় অনশনে বসেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, কল্যাণী মেডিক্যাল সহ জেলার সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। অনশনকে সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষও। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: অধীরকে নতুন দায়িত্ব দিল কংগ্রেস
মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালে শামিল হয়েছেন সকলে। সন্ধেয় অনশন মঞ্চে আসেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। অভিযোগ, মানববন্ধনে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। রাস্তা অবরোধ না করার বিষয়ে অনুরোধ জানান তিনি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। উল্টে জনতার বিক্ষোভের সামনে পড়েন তিনি। ওঠে ‘গো ব্যাক’ ও ‘হায় হায়’ স্লোগান। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। তবে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা।
অন্য খবর দেখুন
