ওয়েবডেস্ক- যৌবন ধরে রাখার চেষ্টাই কি মর্মান্তিক পরিণতি ডেকে আনল? মৃত্যু হয়েছে বলিউডের আলোচিত মডেল ও অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার (Shefali Jariwala) ।
তাঁর ‘কাঁটা লাগা’ গানই (Kaanta Laga Girl) তাঁকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল। রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান তিনি। কিন্তু মাত্র ৪২ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয় শেফালির। মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু (cardiac arrest) হয়েছিল শেফালির।
সিনিয়র পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, শেফালি জারিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যুর তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, বহু বছর ধরেই শেফালি যৌবন ধরে রাখা জন্য অ্যান্টি-এজিং (Anti-Ageing Injection) বা বার্ধক্য নিরোধক ইঞ্জেকশন নিতেন। ২৭ জুন তিনি বাড়িতে পুজোর আয়োজন করেছিলেন। পুজোর কারণে সারাদিন তিনি উপোস করেছিলেন। এর পরেও অভুক্ত অবস্থায় দুপুরের তিনি নিয়েছিলেন অ্যান্টি-এজিং ইঞ্জেকশন। এই ইঞ্জেকশনগুলি তাঁকে আট বছর আগে প্রেসক্রাইব করা হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতি মাসে তিনি নিয়ম করে এই ইঞ্জেকশন নিয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন- দ্বিতীয়বার মা হলেন বলিউড অভিনেত্রী ইলিয়ানা ডি’ক্রুজ
প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সারাদিন খালি পেটে থাকার পর এই ইঞ্জেকশন নেওয়ার কারণেই হয়তো হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মৃত্যু দিন রাত ১১ টার দিকে শেফালি হঠাৎ করে কাঁপতে শুরু করে। সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁর মৃগী রোগ ছিল। সেই সময় শেফালির সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী পরাগ ত্যাগী, তার মা এবং আরও কিছু লোক।
এখনও পর্যন্ত, পুলিশের এফএসএল টিম শেফালির বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বার্ধক্য বিরোধী ওষুধ, বিউটি অয়েল এবং গ্যাস্ট্রো বড়ি। এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই ঘটনায় আট জনের বয়ান নথিভুক্ত করেছে। তার মধ্যে রয়েছে পরিবারে সদস্য, বাড়ির কর্মী ও হাসপাতালের চিকিৎসক। তবে পারিবারিক অশান্তির কোনও ইঙ্গিত পুলিশ দেয়নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হবে। শেফালির শেষকৃত্য আজ মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা হিন্দু শ্মশানে অনুষ্ঠিত হয়।
দেখুনা আরও খবর-