কলকাতা: বিধাননগর এলাকায় বেআইনি হোর্ডিং (illegal hoardings) নিয়ে এবার হাইকোর্টের (High Court) রোষের মুখে পুরসভা (Municipality)। কেন এই হোর্ডিংগুলি খোলা হয়নি, এই বিষয়ে এখনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি তা স্পষ্ট নয় আদালতের কাছে।
হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কড়া ধমক, এত বেআইনি হোর্ডিং দেখেও কিছু করেনি পুরসভা। মনে হয় ইচ্ছে করেই ব্যবস্থা নেয়নি।
আদালতের কড়া নির্দেশ, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব বেআইনি হোর্ডিং খোলার ব্যবস্থা করতে হবে। রিপোর্ট দিতে হবে আগামী ২০ ডিসেম্বর।
হাইকোর্টে বেআইনি হোর্ডিং শনাক্তকরণ করে পরিবেশ মুক্ত করার আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন দিব্যায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্য রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ওই এলাকায় ৩৫১টি বেআইনি হোর্ডিং আছে।
প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ৩৫১ টি বেয়াইনি হলে কেন খুলে ফেলছেন না? নোটিশ দিন। ওদের নিজেদেরই খুলতে বলুন।
আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েল শার্কের চেয়েও বড় আকারের প্রবালের সন্ধান মিলল প্রশান্ত মহাসাগরে
শীর্ষন্য বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যর আইনজীবী আদালতে জানান, এজেন্সিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রে দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞাপন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, এর পরেও খোলা না হলে গ্রেফতার করুন। মামলাকারী আইনজীবী বলেন, নিয়ম না মানলে গ্রেফতার করা যেতে পারে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা। ছয় মাসের জেল হতে পারে। প্রায় দুহাজার হোর্ডিং আছে ওই এলাকায়। মুম্বাইতে হোর্ডিং ভরে থাকার জন্য ১৬ জনের মৃত্যুর কথা আদালতকে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
রাজ্য জানিয়েছে, আমাদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক। প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনারা নিজে স্বীকার করছেন তাও কাজ করছেন না, মনে হয় ইচ্ছে করেই করছেন। নয় ওই এজেন্সিকে গুলিকে তুলে দেওয়া হোক, না হয় পুরসভা হোর্ডিং মুক্ত করুক।
দেখুন অন্য খবর: