skip to content
Friday, July 5, 2024

skip to content
HomeBig newsরেশন দুর্নীতির কিংপিন বালু, দাবি শুভেন্দুর

রেশন দুর্নীতির কিংপিন বালু, দাবি শুভেন্দুর

মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখার আর্জি বিরোধী নেতার

Follow Us :

কলকাতা: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) (বালু) মল্লিককে রেশন বণ্টন দুর্নীতির (Ration Corruption ) কিংপিন বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আরও অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জ্ঞাতসারেই ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দশ বছরে বালু খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ওই দফতরে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। শুক্রবারই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু রেশন দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করেন ইডির অধিকর্তাকে।

টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার ভোররাতে সল্টলেকের বাড়ি থেকে ইডি গ্রেফতার করে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁর দাবি, তিনি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন। শুভেন্দু এবং বিজেপির জন্যই তিনি ফেঁসে গিয়েছেন। শুভেন্দু অবশ্য বালুর ওই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, দুর্নীতি করলে কেউ পার পাবেন না। তিনি যত বড়ই নেতা কিংবা মন্ত্রী হন না কেন।

আরও পড়ুন: কয়েক বছরে বালুর আয় এবং সম্পত্তি বেড়েছে বহু গুণ

উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, বনমন্ত্রীর গ্রেফতারির পর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কিন্তু তেমন সরব হতে দেখা যায়নি। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে দায় এড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় ৩৩ দিন পর এদিনই প্রথম বাড়ির বাইরে পা রাখলেন। তিনি বিকেলে রেড রোডে পুজো কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন। বালুর গ্রেফতারি নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বালুর সল্টলেকের দুটি বাড়ি, আমহার্স্ট স্ট্রিটের পৈতৃক বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মন্ত্রীকে। তাঁর আপ্ত সহায়ক অমিত দে, প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিত দাস, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চলে।

এদিন শুভেন্দু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী বালুকে খাদ্যমন্ত্রী করেননি। খাদ্য দফতরের দুর্নীতি থেকে বাঁচাতেই তাঁকে মন্ত্রী করা হয়নি। তবে ওই দফতর এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ নিগমের মাধ্যমে তোলাবাজি চালানোর জন্য বালুকে তার চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়। এই নিগমের মাধ্যমেই ধান এবং অন্যান্য শস্য সংগ্রহ এবং বিতরণের কাজ চলে। শুভেন্দুর অভিযোগ, এটা একটা বড় দুর্নীতির আখড়া। পূর্বতন টুইটার হ্যান্ডেলে বিরোধী নেতা আরও লেখেন, রাজ্য সরকার এক দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাকে এই নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিযুক্ত করেন। বিরোধী নেতার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু প্রশাসনিক কর্মীবর্গ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী, তাই তাঁর অজান্তে ওই দুর্নীতিগ্রস্ত আমলাকে পণ্য নিগমের এমডি করা হত না। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই আমলা এবং জ্যোতিপ্রিয়র মদতেই রেশন দুর্নীতি হয়েছে। সেই টাকাও কালীঘাটে পৌঁছেছে। শুভেন্দুর এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দুর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই তিনি আবোল তাবোল বকছেন।

আরও অন্য খবর দেখুন

RELATED ARTICLES

Most Popular