নয়াদিল্লি: ঘুষের বিনিময় সংসদে প্রশ্ন করার মামলায় আগামী ৪ সপ্তাহে মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কোর্টে চার্জশিট জমা দেবে সিবিআই। সিবিআইকে চার্জশিট দেওয়ার অনুমতি দিল দেশের অ্যান্টি-কোরাপশন ওয়াচডগ। চার্জশিটের প্রতিলিপি পাঠাতে হবে লোকপালের দফতরেও। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের সম্পূর্ণ বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার তা লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকেও (Nishikant Dubey)।
লোকপালের নির্দেশে বলা হয়েছে সিবিআই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মহুয়া মৈত্র-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করবে। সমস্ত নথির একটি কপি লোকপালের রেজিস্ট্রিতে জমা দিতে হবে। তবে এখনও লোকপাল (Lokpal) প্রসিকিউশন শুরু করার অনুমতি দেয়নি। তারা জানিয়েছে—চার্জশিট আদালতে দাখিল হওয়ার পর আদালত যখন অভিযোগ গ্রহণ করবে, তারপরই প্রসিকিউশন সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মহুয়ার আইনজীবীর দাবি ছিল— রিপোর্ট জমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। তাই আইন অনুযায়ী গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। সিবিআইকে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দিতে হবে। ওই চার্জশিট দাখিলের পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে অভিযোগ গ্রহণ করবে কি না।
আরও পড়ুন: কাজে এল না “ভোট চোর গদি ছোড়” স্লোগান! কী ভবিষ্যৎ কংগ্রেসের?
মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যই দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিলেন নিশিকান্ত। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তে নেমে ২৬ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। প্রমাণ হিসাবে সংগ্রহ করা হয় ৩৮টি নথি। রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, ঘুষ নিয়ে সংসদে মোট ৬১টি প্রশ্ন করেছিলেন মহুয়া। তার মধ্যে তিনটি প্রশ্ন করা হয়েছিল সামনাসামনি, অফলাইন মাধ্যমে। বাকি প্রশ্নগুলি অনলাইনে আপলোড করা হয়েছিল। হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানিয়েছিলেন, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। তবে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি।
দেখুন ভিডিও







