মুম্বই: একসময়ে বলিউডে (bollywood) লাস্যময়ী অভিনেত্রী, তার পর দীর্ঘদিন তাকে আর সেইভাবে সেলেব দুনিয়ায় তারকাদের মাঝে দেখা যায়নি। হঠাৎ করে মহাকুম্ভে (Mahakumbh) কিন্নর আখড়া (kinnar akhada) মহামণ্ডলেশ্বরের (Mahamandaleshwar) সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই পদের মেয়াদ ছিল মাত্র একসপ্তাহ।
কিন্নর আখড়ার লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী (Lakshmi Narayan Tripathi) মমতা কুলকার্নির (Mamata Kulkarni) অভিষেক করান। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সেই বিতর্কে মাঝেই মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে মমতা কুলকার্নিকে সরানো হয়।
মমতার পদ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসে লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর উপরও। এবার স্বেচ্ছায় সেই মহামণ্ডলেশ্বরের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মমতা। বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি জানান, কিন্নর আঁখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। ছোট থেকেই তিনি সাধ্বী। তাই জীবনভর তিনি সাধ্বী থাকবেন। অর্থাৎ মমতার বক্তব্য অনুযায়ী, নিজের সন্ন্যাসীসত্তার বিসর্জন দেবেন না।
আরও পড়ুন: শুটিংয়ের অবসরে সেটে আমায় দাবা খেলতে হতো ঋত্বিক-হৃষিকেশের সঙ্গে
অভিনেত্রীর কথায়, বিগত ২৫ বছর ধরে তিনি সাধিকার জীবন যাপন করেছেন। বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশকে অনুরোধ করব, ওঁর গুরুর থেকে আমার ব্যাপারে জানার জন্য।” অভিনেত্রী জানিয়েছেন, গত ২৩ বছরে তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি কোনও ছবিও দেখেননি। শুধুই সন্ন্যাস গ্রহণ করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
২৫ বছর আগে বলিউড ছেড়ে দিয়েছি এবং সবকিছু থেকে দূরে থেকেছি। কিন্নর আখড়ার আচার্য লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠীর কথাতেই তিনি মহামণ্ডলেশ্বর পদ নিতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু আমাকে এই পদে বসানো নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত’।
দেখুন অন্য খবর-