নয়াদিল্লি: ফের অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। মেইতেই জনগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তির দেহ পাওয়া যেতেই ফের শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। জাতিগত হিংসার বলি হচ্ছে মহিলা দুধের শিশুরাও। ইতিমধ্যেই পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলে কার্ফু জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah) নির্বাচনী প্রচার ছেড়ে উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক ডেকেছেন। এরমধ্যেই এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিল কনরাড সাংমার ন্যাশানল পিপলস পার্টি। এনসিপির সভাপতি কনরাড সাংমা, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে এই সিদ্ধান্তর কথা ইতিমধ্যে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। রাজ্যের হিংসার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী, এনসিপির তাদের সমর্থন সরকারের উপর থেকে তুলে নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। এনপিপি সমর্থন তুলে নিলেও এন বীরেন সিংহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের পতন হবে এমনটা নয়। কারণ এনপিপির সাত বিধায়কের সমর্থন ছাড়াই বীরেন সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ।
হিংসা এবং অশান্তির নতুন করে ছড়িয়েছে শান্ত থাকা জিরিবাম জেলা। রবিবার সেই জেলার বাবুপাড়া এলাকায় উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বছর কুড়ির এক যুবকের। জিরিবাম জেলার জিরি নদীতে দেহ ভাসতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে একটি ছিল এক ষাটোর্ধ্ব মহিলা এবং অপরটি বছর দুয়েকের এক শিশুর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের পার্টি অফিসে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়িঘর। হিংসার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে মণিপুর পুলিশ। ধৃতরা সকলেই ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম এবং বিষ্ণুপুর এলাকার বাসিন্দা। নতুন করে যাতে আর অশান্তি না ছড়ায় জারি করা হয়েছে কার্ফু, বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
আরও পড়ুন: ‘পিএমএলএ মামলায় একদিন সাজার হিসেব করতে হবে’, ইডিকে সুপ্রিম কটাক্ষ
জানা গিয়েছে, অমিত শাহকে স্মারকলিপি জমা দিতে যাচ্ছিলেন মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষজন। এদিকে মণিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে আজ সোমবার আবার বৈঠকে বসতে চলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা, শান্তি ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে আলোচনা হবে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকার্যে মহারাষ্ট্রে ছিলেন শাহ। মণিপুরের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ দিকে যাওয়ায় দলীয় কাজ বাতিল করে দিল্লি ফিরে যান তিনি।
অন্য খবর দেখুন