কলকাতা: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ইউনুস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিচ্ছেন অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস (Mohammad Yunus)। অন্তর্বর্তী সরকারের রূপরেখা কী হবে এবং বর্তমান পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন৷ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানালেন শান্তিতে নোবেলবিজয়ী, ড. ইউনূস।
আপাতত প্যারিসে আছেন মহম্মদ ইউনুস। তিনি শীঘ্রই ঢাকা ফিরতে পারেন। এনিয়ে বিবিসি কথা বলেছে ডঃ ইউনুসের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, যে শিক্ষার্থীরা এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁরা যখন এই কঠিন সময়ে আমাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তাহলে আমি কীভাবে তা প্রত্যাখান করি?
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। হাসিনার দেশত্যাগের পর সোমবারই বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সাংবাদিক সম্মেলনে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পরেই এই সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রধানমন্ত্রী পদে সবথেকে জোরালো নাম নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus)। ছাত্রনেতারা জানিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে তাঁরা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনুসকে চান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনের সঙ্গে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সদস্যের একটি দল বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই সর্বসম্মতিতে ইউনূসকে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় থাকছেন কারা?
একাধারে বাংলাদেশ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের (Grameen Bank) প্রতিষ্ঠাতা, অর্থনীতিবিদ, সমাজকর্মী ইউনুস বলছেন, তাঁর দেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে। হাসিনার দেশত্যাগের পর বাংলাদেশ এখন একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্ত। এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই কথা বলেছেন তিনি। এই বিজয় এনে দেওয়ার জন্য দেশের তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউনুস। নতুন করে শুরুর প্রত্যয় নিয়ে সুন্দর দেশ গড়ার অঙ্গীকার করেছেন নোবেলজয়ী।
অন্য খবর দেখুন