ওয়েবডেস্ক- চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে নির্বাচন (Bihar Election)। এই বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরের দিকে ভোট হওয়ার কথা। ২৪৩ টি বিধানসভা আসনে ভোট হবে। এবার ভোট দান প্রক্রিয়া আরও সহজ করার লক্ষ্যে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এবার মোবাইলের মাধ্যমে দেওয়া যাবে ভোট। এই প্রথম পাইলট প্রজেক্ট (Pilot project) আনছে নির্বাচন কমিশন। তবে বিহার ভোটের আগে পাটনা সহ তিন জেলায় ৬ পুরসভার নির্বাচনে পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিহার রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি অ্যাপ (Mobile App) তৈরি করেছে। যেটা ব্যবহার করে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে ঘরে বসেই ভোট দিতে পারবেন।
শুক্রবার বিহার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দীপক প্রসাদ (Bihar State Election Commissioner Deepak Prasad) ঘোষণা করেন, ২৮ জুন ছ’টি পুরসভার নির্বাচনে ই-ভোটিং (E-Voting) অনুষ্ঠিত হবে। পুর নির্বাচনের সময় পাইলট প্রকল্প হিসাবে শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে যাঁরা অক্ষম তাদের এই পদ্ধতি সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, অভিবাসী শ্রমিক এবং অন্যান্যরা নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন- বিহারে হারবেন নীতীশ! ভোটের আগেই বিরাট ভবিষ্যদ্বাণী পিকে-র
এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ভোটার ই-ভোটিংয়ের রেজিস্টেশন করেছেন, ৫০ হাজার ভোটার কেন্দ্র না গিয়েই ই-ভোটিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি এসইসিবিএইচআর নামে নতুন ই-ভোটিং সার্ভিস অ্যাপে জালিয়াতি রোখার ব্যবস্থাও রয়েছে। যার জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে। ফেস অথেনটিকেশন এবং ম্যাচের মাধ্যমে লগইন করতে হবে। এ ছাড়াও ভোটারদের পরিচয় যাচাই করতে পারবে সিস্টেম।
কিভাবে ইনস্টল করতে হবে-
ভোটারদের E-SECBHR অ্যাপটি ইনস্টল করতে হবে যা বর্তমানে শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ।
ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত অ্যাপের সাথে আপনার মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করুন।
যাচাইয়ের পর, আপনি নির্বাচনের দিন e-SECBHR অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা বিহার নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভোট দিতে পারবেন।
প্রসাদ জোর দিয়ে বলেন যে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা করা হয়েছে এবং ভোটদান প্রক্রিয়াটি মসৃণ ও সুষ্ঠু হবে।
একটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে কেবল দুজন নিবন্ধিত ভোটার লগ ইন করতে পারবেন।
ভোট আইডি নম্বর প্রবেশ করিয়ে প্রতিটি ভোটারের যাচাইকরণ করা হচ্ছে।
ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিশ্চিত করে যে ভোটগুলি একটি নিরাপদ, অপরিবর্তনীয় সিস্টেমে রেকর্ড এবং সংরক্ষণ করা হয়
ভোটে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এই পদ্ধতির প্রয়োগ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
দেখুন আরও খবর-