ওয়েব ডেস্ক: পুরীর রথযাত্রায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ভিড়ের চাপে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু ভক্ত। এই ঘটনার পর থেকেই তোলপাড় দেশ। এরই মধ্যে এবার এই ঘটনার জেরে ক্ষমা চাইলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি। একই সঙ্গে মৃতদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যেরও ঘোষনা করা হয়েছে। পাশাপাশি দই পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে পুরীর জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে ।
পুরীর রথযাত্রা ঘিরে উন্মাদনা অনেক। গত বছরগুলির মত চলতি বছরেও যে বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হবে, তা আগে থেকেই কিছুটা আশঙ্কা করেছিল ওড়িশা প্রশাসন। সেই মত আগে থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও ভিড় সামাল দেওয়ার মতও প্রচুর পরিমান ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল, এমনটাই দাবি করেছিল সংবাদমাধ্যমকে। তারপরও এই ধরণের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে ওড়িশা সরকার। এই ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে ওডিশা সরকারের দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, পদপিষ্টের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তবে ওডিশা সরকার তা নামতে নারাজ। ওড়িশা সরকারের দাবি, ভিড়ের চাপে অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই তিনজনের। এরপরই এক্স হ্যাণ্ডেলে ক্ষমা চান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনাকে ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘মহাপ্রভুর দর্শনের জন্য ভক্তদের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা ও ঠেলাঠেলির কারণে যে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে এবং আমার সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত জগন্নাথভক্তের কাছে ক্ষমা চাইছি। মৃত ব্যাক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়. রবিবার মন্ত্রীদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উন্নয়ন কমিশনের চোয়ারম্যানের মেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তায় গাফিলতির প্রমাণ মেলায় ডিসিপি বিষ্ণুপতি ও কমান্ড্যান্ট অজয় পাধীকে সাসপেন্ড করেছে ওড়িশা সরকার। একই সঙ্গে পুরীর জেলাশাসক সিদ্ধার্থ শঙ্কর সোয়াইনকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিচ্ছেন চঞ্চল রানা। বদলি করা হয়েছে পুলিশ সুপার বিনীত আগরওয়ালকেও। তাঁর জায়গায় এসেছেন পিনাক মিশ্র।
দেখুন অন্য খবর :