কলকাতা: শনিবার সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) ছদ্মবেশে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কাপড়ে মুখ ঢেকে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident) ঢুকলেন। গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললেন তিনি। মাথায় ঘোমটা, পরনে শাড়ি, মীনাক্ষীর এই পোশাক পরিচিত নয়। ডিওয়াইএফের বা দলীয় কর্মসূচিতে তিনি সালোয়ার কামিজেই স্বচ্ছন্দ। শাড়ি পরা মীনাক্ষীকে সচরাচর দেখা যায় না। এদিন সেই শাড়ি পরিহিত যুবনেত্রী সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ালেন। গেলেন জেলবন্দি প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বাড়িতে।
পরে অবশ্য মাঝেরপাড়ায় ডিওয়াইএফ নেত্রীকে আটকে দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারার যুক্তি দেখিয়ে গ্রামে যেতে বাধা দেওয়া হয় তাঁকে এবং সতীর্থদের। শনিবার সকাল থেকেই গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু। তাঁরা কীভাবে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন, প্রশ্ন তোলেন মীনাক্ষীরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশের তর্কাতর্কিও হয়।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের পাশে আছেন মুখ্যমন্ত্রী, সন্দেশখালিতে বার্তা দুই মন্ত্রীর
বিচারের দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident)। সেখানকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে এদিন সকালে মুখ ঢাকা দিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে সন্দেশখালিতে পৌঁছন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের আজকের কর্মসূচি নিয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। কর্মসূচি সম্পর্কে জানতেন না রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বড় অংশ। ১৪৪ ধারা জারি থাকার সত্ত্বেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরান। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সর্দারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকা পরিদর্শনের সময় মাঝেরপাড়ায় মীনাক্ষীকে বাধা দেয় পুলিশ। মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৯)
এদিন মীনাক্ষী বলেন, আমার নামে কোনও অপরাধের মামলা আছে? কেন আমাকে যেতে দেবে না। , ‘আমরা কি তাহলে চলে যাব? থানায় যাব, কী করব আরে বলুন কিছু। আপনারা বেআইনি কাজ করছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে মীনাক্ষী বলেন, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরারা মানুষের উপর অত্যাচার করেছে।মানুষ এখানকার পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ তাঁদের শাহজাহান-শিবুদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ মানুষের কথা শোনে না। ওদের সঙ্গে এই পুলিশের শাস্তি চাই। অন্যদিকে শনিবার গ্রামের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালিতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসুরা। পুলিশি বাধা পেয়ে মীনাক্ষী দুই মন্ত্রীকে ‘শাহজাহানের লোক’ বলে কটাক্ষ করেন। পরে তিনি ফেরিঘাটে বসে পড়েন দলবল নিয়ে। সেখানে তাঁকে ঘিরে রাখে পুলিশ। তিনি বলেন, আমি বসিরহাট জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে যাব। সেখানেও তাঁকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।
দেখুন ভিডিও