কলকাতা: সাত বার পাকিস্তানে যাওয়া। কাশ্মীরের সেই জঙ্গি অস্ত্রোপাচারের রুট খুঁজতে পৌঁছে গিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ে। জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে (Javed Munshi) ধরা রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) সাফল্য। এজন্য কাশ্মীর পুলিশের কোনও গোয়েন্দা তথ্য (Intelligence Input) পাওয়া যায়নি। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের (STF) গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকেই সে ধরা পড়েছে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় দক্ষ কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। মানুষের কাছে থেকে সহযোগিতা ও তথ্য পেয়েছি। সেজন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। যেহেতু সে কাশ্মীরের মামলায় অভিযুক্ত তাই তাকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার এমনই জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ক্যানিং থেকে ধরা পড়ে জাভেদ মুন্সি। অস্ত্র পাচারের রুট খোঁজার জন্যে সে এই রাজ্য এসেছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সাল থেকে সাত বার সে পাকিস্তানে গিয়েছিল। করাচিতে আইইডি বিস্ফোরণের প্রশিক্ষণও নিয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ারও পরিকল্পনা ছিল তাঁর। লস্কর-ই-তইবার হ্যান্ডলারের কথাতে সে কাজ করছিল। এমনকী পাকিস্তানের লস্কর ই তইবার প্রধান হাফিজ সইদের ছেলে তালহা সইদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের ওই জঙ্গিকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের টিম যৌথভাবে ধরে।
ওই ঘটনার পর রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দোষারোপ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিএসএফ সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্বে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্ছিদ্র করলে এই ঘটনা ঘটত না। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার পাল্টা বলেছিলেন, আমরা ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুরক্ষিত করব। যদি রাজ্য সরকার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয় তাহলে এটা করা হবে।
আরও পড়ুন: কাবু করা যাচ্ছে না বাঘিনীকে, জিনাত আতঙ্কে কী পদক্ষেপ?
বাংলাদেশে অস্থিরতার জেরে আনসারুল্লা বাংলা টিমের মতো আলকায়েদার সংগঠন মাথাচাড়া দিয়েছে। অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে তাদের সদস্যরা ঢোকার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি আনসারুল্লা বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। ভুয়ো পাসপোর্ট, আধার কার্ড তৈরি করেও কয়েকজন এখানে বসবাস করছিল। এই রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, কলকাতা সহ একাধিক এলাকা, মুম্বই, দিল্লি থেকেও বেআইনি অনুপ্রবেশ করা বাংলাদেশিদের ধরা পড়ার ঘটনা বাড়ছে।
দেখুন অন্য খবর: