কলকাতা: কারও বয়স ৮০, কারও বয়স ৭০। চামড়ায় ভাঁজ পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বসবাস উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার (Basirhat Municipality) নয় নম্বর ওয়ার্ডের পোস্ট অফিস পাড়ায়। সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল সেইসব ১০০টি পরিবার। উদ্বাস্তু (Refugee) পরিবারগুলির প্রায় ৫০০ ভোটার। ভোটের আগে স্থায়ী ঠিকানা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে তাদের কাছে বারবার আসেন জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই বামফ্রন্ট আমল থেকে স্থায়ী মাটি পাওয়ার আশা তিমিরেই ডুবেছিল। বারবার জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। অবেশেষ উদ্যোগ নিল বসিরহাট পুরসভা। তাঁদের নাম ঠিকানা সরকারিভাবে লিপিবদ্ধ করার পর বাকি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বসিরহাটের মহকুমাশাসক আশিসকুমার, বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী, নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা দাস বিশেষ করে উদ্যোগী হন।
সোমবার বসিরহাট টাউনহলে দকলমন্ত্রী সুজিত বসু, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক কর্তারা প্রায় একশোটি পরিবারের হাতে ৯৯ বছরের জমির লিজ ও দলিল তুলে দিলেন। ভূমিহীন পরিবারগুলিকে মঞ্চে ডেকে মিষ্টিমুখের মধ্যে দিয়ে মধুরেণ সমাপয়েৎ হল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম নিজ ভূমি পেয়ে খুশি তাঁরা। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বললেন, এর আগে কোনও সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। এজন্য ধন্যবাদ দিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের। এরপরে সরকারি সাহায্যে ঘর তৈরি করার আশা আছে। তাঁদের মাথার ছাদটুকু এই সরকার দেবে বলে মঞ্চে ঘোষণা করেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু, সাহায্যের আবেদন ফল বিক্রেতার
দেখুন অন্য খবর: