কলকাতা: বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ভবানীপুরে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে দফায় দফায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মহিলা পুলিশকর্মীদের দিয়ে বাইক আটকে দেওয়া হয়। ২০ জুন দিনটি গোটা দেশ জুড়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ (Paschimbangal Divas Celebration) হিসেবে পালন করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্য সরকার এই নির্দেশিকার বিরোধীতা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছিলেন, ১ বৈশাখ বাংলা বছরের প্রথম দিন। ওই দিন ছাড়া কোনও দিন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন হবে না।
শুক্রবার সকালের বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রথম শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর তিনি বাইক চালিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বাড়ি যান। অভিযোগ, তাঁকে পুলিশ বাধা দেয়। ভারতের পতাকা নিয়ে বাইকে চেপে যেতে নিষেধ করা হয়। সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ নয়, বাংলাদেশের পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন তখন তাঁকে এক আলোচনা সভায় পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন ডক্টর রজত শুভ্র ব্যানার্জি, পরবর্তীকালে সেই ব্যক্তিকে কলকাতায় বিভিন্নভাবে হয়রানি করে রাজ্য পুলিশ। পরবর্তীকালে তিনি আমাকে এই সমস্যার কথা জানান, আজ উনার বাড়ি গিয়ে উনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ আমাকে বাধা দেয়। আমার মাটি, আমার মা, বাংলাদেশ হবে না।’ পালটা তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “যে যা পারে করুক, তাতে কিছু যায় আসে না।”
আরও পড়ুন: এসএসসি-র ভাতাতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের, এবার কী হবে?
সুকান্ত মজুমদারকে বাইক সমেত আটকানোর অভিযোগ ওঠে। তাঁর পাশে থাকা বিজেপি কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি-বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ভবানীপুর চত্বরে কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। যদিও বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও এদিন দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করতে। বিধানসভা থেকে তিনি রেড রোড পর্যন্ত আসেন। সেখানে বিশিষ্ট জনেদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেন। অন্যদিকে, বিধানসভার ভিতরেও এদিন বচসায় জড়িয়ে পড়েন BJP এবং তৃণমূলের বিধায়করা। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে বিধানসভায় বলতে না দেওয়ার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন।
দেখুন ভিডিও