কলকাতা: তিরুপতি মন্দিরের (Tirupati Temple) অ-হিন্দু কর্মচারীদের স্বেচ্ছাবসরের নিদান। ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্টের নবনির্বাচিত সভাপতি বিআর নাইডু জানিয়েছেন, মন্দিরের অ-হিন্দু কর্মচারীদের হয় স্বেচ্ছাবসর নিতে হবে, না হলে তাঁদের অন্য সরকারি দফতরে বদলি করা হবে। তবে বর্তমানে ওই মন্দিরে কত জন অ-হিন্দু কর্মচারী রয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
সূত্রের দাবি, ১৪ হাজার অস্থায়ী কর্মচারী মন্দিরের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। তারমধ্যে দৈনন্দিন এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য সাত হাজার স্থায়ী কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন। এই কর্মচারীদের মধ্যে অন্তত ৩০০ জন অ-হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। আরও জানা গিয়েছে, স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ২১ হাজার কর্মচারীকে বেতন দেওয়া হয় ভক্তদের দানের টাকাতেই। অন্যদিকে , মন্দির কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অধিকাংশ কর্মচারী সংগঠন।
বিআর নাইডু জানিয়েছেন, মন্দিরের পরিবেশ রক্ষা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সুশৃঙ্খল করতে দর্শনের সময়েও কাটছাট করা হতে পারে। সময় ২-৩ ঘণ্টা কমিয়ে আনা হতে পারে। এই বিযয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মন্দিরের বাইরে কোনও অ-হিন্দু দোকানদার পসরা সাজিয়ে বসতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ট্রাস্টের যুক্তি, যে হেতু এই সমস্ত পরিবর্তনের দাবি হিন্দু ভক্তদের তরফে এসেছিল তাই ট্রাস্ট সেগুলিকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম বৃষ্টির দাবিতে মোদিকে চিঠি দিল্লির পরিবেশমন্ত্রীর
সম্প্রতি লাড্ডু-বিতর্কে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল তিরুপতি মন্দির। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু সম্প্রতি অভিযোগ করেন, জগন্মোহন রেড্ডির সরকারের আমলে তিরুমালার প্রসাদী লাড্ডু বানাতে ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে পশুর চর্বি মেশানো হত! চন্দ্রবাবু দাবি করেন, তিরুপতির মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ‘বিশুদ্ধ’ ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে পশুর চর্বি। ওয়াইএসআর কংগ্রেস অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিরোধীদের দাবি, চন্দ্রবাবু ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবে গুজব ছড়াচ্ছেন।
অন্য খবর দেখুন
