নয়াদিল্লি: ইডি-র (ED) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি (Arrest) ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। অভিযুক্তকে জামিন (Bail) দিয়ে ভর্ৎসনা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। খামখেয়ালিপনার নিদর্শন দেখিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিরুদ্ধে। যেখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও তুলেছে বিচারপতি রেবতি মোহিত দেরে ও বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চ্যবনের ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রায় আট বছর আগের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দীপক দেশমুখকে গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে অভিমত আদালতের। যে অভিযোগের চার্জশিটে ধৃতের নাম ছিল না। অথচ আর্থিক কেলেঙ্কারির নয়া অভিযোগ অনুযায়ী এই ব্যক্তি প্রায় ৪৯.৫০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছেন। যেখানে মোট আর্থিক কেলেঙ্কারির পরিমাণ ৬৯ কোটি। রায় অনুযায়ী আবেদনকারীকে তিনবার সমন করা হয়। প্রত্যেক বারই তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তদন্তে সহযোগিতাও করেছেন।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার বাঁচাতে পারবে শাসক এনডিএ?
আবেদনকারী এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ ঘোষিত হবার পরেই ইডি আবেদনকারীকে ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে। পরের দিন বিশেষ আদালতে পেশ করে তাঁকে নিজের হেফাজতে নেয়। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। মন্তব্য আদালতের।
আবেদনকারীকে দুটি নথি দেওয়া হয়। একটি ‘রিজনস টু বিলিফ’ অন্যটি ‘গ্রাউন্ডস অফ অ্যারেস্ট’। দুটি নথি একই রকম। একথা উল্লেখ করে বেঞ্চ জানিয়েছে, যে নথি আগে থাকতেই ইডির হাতে ছিল, সেই নথি পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখিয়েছে ইডি। যেহেতু সেই নথি তাদের হাতে আগে থাকতেই ছিল, তাই সেখানে কারচুপি করার সুযোগ আবেদনকারীর ছিল না। প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটা অনস্বীকার্য যে, ইডি তার গ্রেফতারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। যা সুপ্রিম কোর্টের বিজয় মদনলাল চৌধুরী মামলার রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
দেখুন অন্য খবর: