ঢাকা: শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সরকারের পতনের পর থেকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা। সংখ্যালঘুদের উপর হামলা নিয়ে বাংলাদেশকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে ভারতও। কিন্তু সেদেশে শুধুমাত্র কি সংখ্যালঘুরাই আক্রান্ত? না। সাম্প্রতিক সময়ের পুলিশ রিপোর্ট বলছে, বাংলাদেশে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যাগুরু সাধারণ মানুষরাও। কারণ, বিগত চার মাসে দেশে সংঘটিত অপরাধের (Crime) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। তাই ইউনুস সরকারের (Mohammed Yunus) সামনে ‘ক্রাইম রেট’ কমানো যে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ, তা বলাই যায়।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত সময়ে সবথেকে বেশি হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ছিনতাই, তোলাবাজি এবং জুলুমবাজির ঘটনা। পরিসংখ্যান বলছে, গত ৫ আগস্ট থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুধুমাত্র ছিনতাইবাজদের হাতেই মৃত্যু হয়েছে ৭ জন সাধারণ মানুষের। এমনকি, আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় মোট ৬৫টি ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের হয়েছে। এগুলির মধ্যে অনেকেই দুষ্কৃতীদের হাতে মারা গিয়েছেন, কেউ আবার গুরুতর যখম হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ভোরের দিকে এই ধরণের ঘটনা ঘটছে। ফাঁকা ও জনবহুল- দু’রকম জায়গাতেই ঘটে চলেছে এই ধরণের অপরাধমূলক ঘটনা।
আরও পড়ুন: গুম কাণ্ডে ভারত-যোগ! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল ইউনুসের বাংলাদেশ
ঢাকা পুলিশ সূত্রে খবর, শুধুমাত্র সংখ্যালঘুরা নয়, সংখ্যাগুরু সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হচ্ছেন দুষ্কৃতীদের হাতে। এছাড়াও, বিদেশীদের আক্রান্ত হওয়ার খবরও সামনে এসেছে। এই কথা স্বীকার করেছে খোদ ঢাকা পুলিশ। এই বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাদ আলি বলেন, “আমার কাছে যা রিপোর্ট, তাতে ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মোবাইল ছিনতাই হচ্ছে।” মূলত মহম্মদপুর, খিলগাওঁ, শাহজাহানপুর এবং হাতিরঝিল এলাকায় বিগত এক মাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে সর্বোচ্চ। সেই কারণে এখন রাতের দিকে সাবধান হয়ে রাস্তায় ঘোরার পরামর্শ দিচ্ছে ঢাকা পুলিশ।
দেখুন আরও খবর: