বারাসত: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। আরও দুইজন গ্রেফতার (Arrest) হল। সন্দেশখালি সরবেড়িয়া বাজার থেকে আলি হোসেন ঘরামি ও মিনাখার বাসিন্দা সঞ্জয় মন্ডলকে নেজাট থানা বাগদীপাড়া থেকে গ্রেফতার করল। রবিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ধৃতদের। আগের দুজনকে গ্রেফতার করে এদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৯ দিনের মাথায় গ্রেফতারের সংখ্যা সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো চার। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলায় ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় দু’জন। মেহবুব মোল্লা ও সুকমল সর্দার নামে ২ জনকে গ্রেফতার করে ন্যাজাট থানার পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় ওই ২ জনকে।
সন্দেশখালিতে রেশন ‘দুর্নীতি’ মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে গিয়ে তারা বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডিকে। তিন জন আধিকারিককে হাসপাতালে ভর্তিও করাতে হয়। ইডির দাবি, শাহজাহানের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তৃণমূল নেতার অনুগামীরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় পর পর তিনটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। একটি এফআইআর করা হয় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে। এ ছাড়া, ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলা ও শিশুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর দায়ের হয় একই থানায়।
আরও পড়ুন: মাদক সহ গ্রেফতার বিজেপি কর্মী, সুকান্ত-শুভেন্দুদের সঙ্গে ছবি প্রকাশ তৃণমূলের
সেই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ব্যবস্থা নেওয়ার কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও সেভাবে গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এখনও মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান অধরাই রয়ে গিয়েছে।
আরও খবর দেখুন