কলকাতা: পেটের দায়ে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন বাড়ির মহিলারা। মহিলা ডাক্তার থেকে নার্স, স্কুল শিক্ষিকা থেকে অধ্যাপিকা- সকলেই আজ এই নিষিদ্ধ পেশাকে বেছে নিয়েছেন। কেউ পুলিশের নজর এড়িয়ে ‘বাবু’ ধরেন, কেউ আবার জেলে যাওয়ার ভয়ে পুলিশকেই ঘুষ দেন। হ্যাঁ, এভাবেই ঘর চালানোর দায়িত্ব নিয়েছেন মায়ানমারের (Myanmar) মেয়েরা। আজ আমরা পথে নেমে এক মেয়ের হয়ে বিচার চাইছি, আর ওইদিকে রোজ রাতে হাজারো মেয়ে বিক্রি হচ্ছে রজনীগন্ধার দামে। আসলে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা!
আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান বলছে, বিগত দু’বছরে মায়ানমারে যৌনকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে বেশ কয়েকগুণ। কিন্তু কেন? আসলে লাগাতার গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি (Civil War) দেশটির অর্থনীতিকে ভেতর থেকে শেষ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, জুন্টা সরকারের (Junta Government) আমলে দেশের কোষাগার আজ শূন্যপ্রায়। সেই কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হয়েছে অগ্নিমূল্য (Price Hike)। এদিকে সেনা সরকারের আমলে মায়ানমার জুড়ে বেড়েছে বেকারত্ব। তাই সাধারণ মানুষের হাতেও নেই টাকাপয়সা। এদিকে আবার জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক পুরুষ মারা গিয়েছেন। তাই অনেক পরিবার হারিয়েছে রোজগেরে সদস্যদের। এককথায়, চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশী দেশের সিংহভাগ মানুষ।
আরও পড়ুন: ৯/১১-র ধাঁচে ড্রোন হামলা রাশিয়ায়! নেপথ্যে ইউক্রেন নাকি জঙ্গিগোষ্ঠী?
কিন্তু তাই বলে মহিলা চিকিৎসক, নার্সরা দেহ ব্যবসার পেশায়? শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে মায়ানমারের পরিস্থিতি এমনটাই। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মে নামের ২৬ বছরের এক ডাক্তারি পাশ করা তরুণী জানিয়েছেন, “৪১৫ ডলার হাতে থাকলে মুহূর্তে তা উবে যাবে। ওই টাকায় আজকাল আর জল পর্যন্ত গরম হচ্ছে না। পরিবারের নিত্য দিনের খরচ চালানোই দায়! আমাদের কাছে রোজগারের একমাত্র রাস্তা হল যৌন ব্যবসা।” কিন্তু এভাবে আর কতদিন সুস্থভাবে বাঁচবে মায়ানমারের ৫ কোটি ৪০ লক্ষ বাসিন্দা? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
দেখুন আরও খবর: