বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লকে ৮৭২টি ইট ভাটা রয়েছে। তার সঙ্গে প্রায় ৪ লক্ষ শ্রমিক তাঁদের পরিবার ক্ষুদ্র, মাঝারি, বড় ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এই কাজ করতে সবমিলিয়ে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ যুক্ত। ইট ভাটায় দুর্ঘটনার পর সেখানেই নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য সমস্ত জেলা প্রশাসন ভাটা মালিকসহ শ্রমিকদের সঙ্গে বসে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করব। দক্ষ শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামী দিনে ভাটা শিল্প বাঁচিয়ে রাখার সবরকম চেষ্টা করব। ভাটা মালিকরাও দাবি করেন, এই ঘটনা যাতে না হয় শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করে শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভাটার এক মহিলা শ্রমিক বলেন, আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে সবাই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। যেভাবে মৃত্যু ঘটল, স্বজন হারাল। আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। যাতে আগামী দিন এরকম ধরনের ঘটনা না ঘটে। এই শিল্পের উপরেই আমাদের নির্ভর করে জীবন জীবিকা রুজি রোজগার চলে। বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি গোলাম সারোয়ার বলেন, আগামী দিন যাতে ভাটা শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায় তার জন্য প্রোটোকল মেনে প্রশাসনিকভাবে সব রকম ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরলেও আতঙ্ক কাটেনি বর্ধমানে
ইট ভাটার চিমনি ভেঙে দুর্ঘটনায় মৃত তিন। জখম হয়েছেন ২৫ জন। বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার (Basirhat PS) দলতিতা গ্রামে একটি ইটভাটায় চিমনিতে ফায়ারিং করার জন্য শ্রমিকরা হাজির ছিলেন। সেসময় চিমনিতে আগুন লাগাতেই হঠাৎ ভেঙে পড়ে চিমনি। জখমদের স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলায় আনলে হাসপাতালে হাফিজুল মণ্ডল বলে বছর ৩৫-এর এক ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। বাকি ২ জন চিমনির তলায় চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন।
আরও খবর দেখুন