পূর্ব নির্ধারিত পথ ধরেই বুধবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ বালেশ্বরের ধামড়াতে ১৫৫ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় যশ। যার জেরে বাংলার বেশ কয়েকটি গ্রামের নদী বাঁধ ও সমুদ্র লাগোয়া বাঁধ ভেঙে বহু গ্রামে জল ঢুকে গিয়েছে বলে নবান্নে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকালে নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘উপকূলবর্তী এলাকায় গ্রামগুলিতে জল ঢুকছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি নদীবাঁধ ভেঙেছে। গোসাবার গ্রামগুলি প্লাবিত। ২০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীঘা, শঙ্করপুর এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নন্দীগ্রামে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩.৮ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। সারা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে কলকাতায় এখনও সেরকম প্রভাব পরেনি। যার ফলে কলকাতার ওপরে এখনও বিদ্যুৎ ও জল পরিষেবা সচল আছে।’ তবে ঝড় কলকাতায় প্রবেশ করলে তা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন আরও জানান, ‘উপকূলবর্তী এলাকায় ১৩০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমানে ঘণ্টায় ৭৫ কিমি বেগে ঝড় হবে। ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া ৩-৪ ঘণ্টা ধরে চলবে।’ ঝড়ের জেরে দিঘায় তুমুল জলোচ্ছ্বাস। কুলতলি, পাখিরালায়, সুন্দরবন, ফ্রেজারগঞ্জে বাঁধ ভেঙেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গোটা বাংলা দুর্যোগ কবলিত। ভরা কোটালের জন্য বাংলায় বেশি সমস্যা হচ্ছে। যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ততক্ষণ কেউ প্লাবিত গ্রামে ফিরবেন না। অন্যদিকে, ঝড়ের জেরে কলকাতায় বন্ধ করা হয়েছে উড়ালপুলগুলি। বন্ধ রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান ওঠা নামা। বাংলার ১০ জেলাতে ১৭ কোম্পানি সেনা নামানো হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী এদিন নির্ধারিত সময়ের ৪৫ মিনিট আগেই ওড়িশাল ধামড়ায় আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যার জেরে আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদা, কালিম্পং, দার্জিলিংয়ে।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.