টি২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড (England)। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের পর এবারও দলকে প্রায় একার কাঁধে জিতিয়েছেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)। তাঁকে নিয়ে মাতামাতি, প্রশংসা হবেই। তবে হেরে যাওয়া পাকিস্তান (Pakistan) আজ মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়তে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্যের এত কাছে এসেও অসফল হলে মনখারাপ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আজ বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়েনি পড়শি দেশের বোলাররা। ভারতের (India) চিরশত্রু দেশ পাকিস্তান। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়বে ভারতীয়রা পাকিস্তানের বোলারদের পারফর্ম্যান্সে কতখানি মুগ্ধ।
প্রথমে ব্যাট পেয়ে ১৩৭ রান করেছিল সবুজ বাহিনী। ফাইনাল ম্যাচে এই স্কোর কখনওই যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে সেই দলের বিরুদ্ধে যারা ভারতের ১৬৮ রান তুলে দিয়েছিল ১০ উইকেটেই, তাও মাত্র ১৬ ওভারে। কিন্তু আজ ১৩৭ রান তুলতেই ইংল্যান্ডের নাকের জলে চোখের জলে হওয়ার দশা। কারণ, পাকিস্তানের হাতে রয়েছে একটা শাহিনশাহ আফ্রিদি (Shahin Afridi), একটা হ্যারিস রউফ, একটা নাসিম শাহ (Naseem Shah) এবং একটা শাদাব খান।
আরও পড়ুন: Ben Stokes: ইডেনের শাপ, মেলবোর্নে মুক্তি-বেনের উইনিং স্ট্রোকস
শুরুতেই দুরন্ত ইনসুইংয়ে অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করলেন আফ্রিদি। জস বাটলার (Jos Butler) এবং ফিল সল্টকে ফেরালেন রউফ। তরুণ নাসিম শাহ উইকেট পাননি, কিন্তু মাঝের দিকে তাঁর আগুনে স্পেল দেখে শোয়েব আখতারের কথা মনে পড়ে গেল। বেন স্টোকসের মতো ব্যাটার ব্যাট ছোঁয়াতেই পারছিলেন না। একটা সময়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু দুর্ভাগ্য পাকিস্তানের। চোট পেয়ে যান আফ্রিদি। তিনি আর বলই করতে পারেননি। সেই জায়গায় বল করতে আসেন পার্টটাইম অফস্পিনার ইফতিকার। ওখানেই চাপ আলগা হয়ে যায়।
বেন স্টোকসের কৃতিত্ব ছোট করা অসম্ভব। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, আফ্রিদি বল করতে পারলে এই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত। এই হারের পর সত্যিই মাথা নিচু করার প্রয়োজন নেই বাবর আজমদের। তাঁরা যথেষ্ট লড়াই করেছেন, মন জিতেছেন তামাম ক্রিকেটভক্তদের। ইংল্যান্ডকে অভিনন্দনের পাশাপাশি পাকিস্তানকে কুর্নিশ।