কাতার: বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ করেছিল স্পেন(Spain)। প্রথম ম্যাচেই কোস্টারিকাকে(Costa Rica) সাত গোলের মালা পরিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল স্পেন(Spain)। ছোট ছোট পাস দিয়ে আক্রমণে ওঠা থেকে শুরু করে ফলস নাইনের সফল ব্যবহার— কোচ লুই এনরিকের কৌশল মনে করাচ্ছে স্পেনের সোনালী স্মৃতি।
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ভিসেন্তে দেল বস্কির সেই বিখ্যাত ‘তিকিতাকা’। পেড্রি, গাবিদের এই পাসিং ফুটবল নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে লা রোহা অনুরাগীদের।
আরও পড়ুনঃKolkata TV Exclusive Ian Chappell: ২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রসঙ্গ এড়ালেন ইয়ান চ্যাপেল! কিন্তু কেন?
মঙ্গলবার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে নক আউটের লড়াইয়ে স্পেনের প্রতিপক্ষ মরক্কো। ‘তিকিতাকা’ অস্ত্রেই আফ্রিকান দেশটিকে মাত করার ছক কষছেন এনরিক। তবে কাজটা একেবারে সহজ হবে না। চলতি আসরে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে মরক্কোও। বেলজিয়াম, কানাডার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নক-আউটে পৌঁছেছেন হাকিম জিয়াচরা। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে স্প্যানিশদের কড়া চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ওয়ালিদ রেগরাগির দল।
স্পেনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের মূলমন্ত্র তারুণ্য। পেড্রি, গাবি, ফেরানরা পাসিং ঝড়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে নাজেহাল করে দিচ্ছেন। স্ট্রাইকার আলভারো মোরাতাও ফর্মে। তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জাপানের কাছে হেরে কিছুটা ছন্দ কেটেছে এনরিক-ব্রিগেডের। গতিময় ফুটবলে ‘নীল সামুরাইরা’ প্রমাণ করেছে, এই স্পেন অপ্রতিরোধ্য নয়। তবে গত ম্যাচের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী স্প্যানিশ কোচ। এনরিকের কথায়, ‘মরক্কোকে সমীহ করতেই হবে। গ্রুপ স্টেজের দুরন্ত পারফরম্যান্সে উজ্জীবিত ওরা। তবে ছেলেদের বলেছি, গত ম্যাচের হার ভুলে নতুনভাবে শুরু করতে। প্রতিপক্ষের থেকে আমার খেলোয়াড়রা অনেক বেশি প্রতিভাবান।’