পুনে: ব্যাটিং ব্যর্থতা। দুরন্ত বোলিংয়ে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা। শেষ পাঁচ ওভারে ৭৭ রান খরচ করার মাশুল দিল ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেড। ২০৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে জলে গেল সূর্য কুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ও অক্ষর প্যাটেলের (Axar Patel) লড়াই। দু’জন ষষ্ঠ উইকেটে ৯১ রান যোগ করলেও শেষরক্ষা হল না। টিম ইন্ডিয়ার ইনিংস ৮ উইকেটে ১৯০ রানে থেমে যায়।
যে মাঠে প্রথমে ব্যাট করে জয়ের পরিসংখ্যান বেশি, সেই মাঠে হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) হঠাৎ আগে বল করার সিদ্ধান্ত অবাক করে দেয়। টস জিতলে আগে ব্যাট করতেন বলেই জানালেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শনকা। পুণের ছোট মাঠে যে কোনও অধিনায়ক সেটাই করেন। সুযোগ পেয়ে কাজেও লাগালেন শ্রীলঙ্কার ওপেনাররা। বড় রান তোলার ভিতটা করে দিলেন তাঁরা। হার্দিক প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়েছিলেন। কিন্তু তা ভুলিয়ে দিলেন আরশদীপ সিংহ। একের পর এক নো বল করে গেলেন। দ্বিতীয় ওভারে পর পর তিনটি নো বল করেন তিনি। দিলেন ১৯ রান। গোটা ম্যাচে ২ ওভার বল করেছেন আরশদীপ। পাঁচটি নো বল করেছেন তার মধ্যে। দিয়েছেন ৩৭ রান। কোনও উইকেটও পাননি। তবে ফের একবার বাইশ গজের যুদ্ধে গতির আগুন ছোটালেন উমরান মালিক। তাঁর বলের গতিতে একটা সময় কেঁপে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং।
আরও পড়ুন: IPL-Delhi Capitals: আগামী আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক কে হতে চলেছেন? জানতে পড়ুন
আর ম্যাচ জিততে হলে ভারতের প্রয়োজন ছিল শুরু থেকে দ্রুত রান তোলা। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারের মধ্যেই ভারতের দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরেন। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা রাহুল ত্রিপাঠী ফিল্ডিং করার সময় দুরন্ত ক্যাচ নিয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাট হাতে তিনি ব্যর্থ। মাত্র ৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ত্রিপাঠী। হার্দিক ১২ রান করেন। রান পাননি দীপক হুডাও। তিনি ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এর পরেই সূর্যোদয় ভারতীয় ইনিংসে। সূর্যকুমার যাদব এবং অক্ষর পটেল মিলে ৯১ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। এবার তৃতীয় ম্যাচ সিরিজি নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল। যে দল জিতবে সেই সিরিজ জিতবে।