সরাসরি না বললেও, ইস্টবেঙ্গল যে আইএসএল সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় খেলবে, শুক্রবার তা পরিষ্কার করে দিলেন ক্লাব কর্তারা| কিন্তু চুক্তিতে সই না হলে কি করে খেলবে| ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ঘোষণায় পরিষ্কার, প্রাক্তন ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা আপাতত লাল-হলুদ ব্রিগেডের মাঠে নামার পক্ষেই সায় দিচ্ছে|
কারণ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে মাত্র দুটি অপশন রয়েছে| হয় চুক্তিতে সই করতে হবে নয়তো তাদের পদত্যাগ করতে হবে| ক্লাবের বিশ্বস্ত সূত্রের খবর আগামী ১৩ বা ১৪ অগস্ট আন্ডার প্রোটেস্ট ইস্টবেঙ্গল কর্তারা চুক্তিপত্রে সই করবেন|
শুক্রবার প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হয়| তারপর মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ফুটবলারকে ডেকে নেওয়া হয় কার্যকরি কমিটির সভাতে| সেখানে প্রাক্তনদের সকলেই ইস্টবেঙ্গলের মাঠে নামার পক্ষে সায় দেন|
তাদের কথা মাথায় রেখেই দুটি শর্ত মনমতো না হলেও, চুক্তিপত্রে সই করার মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন ক্লাব কর্তারা| সেইসঙ্গে ইতিমধ্যে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্যও সময় চেয়েছেন|
যদিও এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ও বিনিয়োগকারী সংস্থার শীর্ষকরতা হরিমোহন বাঙ্গুরের সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছিলেন| কিন্তু দু পক্ষের কেউই ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দিতে পারেননি|
প্রথমে সাতটা পয়েন্টের জন্য চুক্তিপত্রে সই করা আটকে থাকলেও, পার্থ সেনগুপ্তের মধ্যস্থতায় সেই জটিলতা কেটে যায়| কিন্তু ক্লাব কর্তারা তারপরেও দাবী তোলেন চুক্তিটাকে ৫ বছরের জন্য করতে হবে| আবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়|
আপাতত সেই জটিলতাকে পাশে রেখে ক্লাব কর্তারা আন্ডার প্রোটেস্ট চুক্তিপত্রে সই করার সিদ্ধান্ত নেন| কারণ হাতে সময় কম, এখনও দল গঠনের কাজ শুরু হয়নি|
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আইএসএল সহ অন্যন্য প্রতিযোগিতায় খেলবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করার পরই চিত্রটা বদলে যায়| তবে পাঁচ বছরের চুক্তি নিয়ে লাল-হলুদ কর্তাদের প্রতিবাদ শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাতো সময়ই বলবে| তার আগে শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের দল মাঠে নামানোর ঘোষণায় স্বস্তিতে আপামর লাল-হলুদ সমর্থক|