তারকেশ্বর: বাজ (Lightning) পড়ে হুগলির তারকেশ্বরে মৃত্যু হল ২ জনের। গুরুতর জখম আরও ২। শুক্রবার বিকেলে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয় জেলার নানা প্রান্তে। বৃষ্টি চলে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও। তুমুল বৃষ্টি হয় তারকেশ্বরে (Tarakeshwar in Hooghly)। বৃষ্টির সঙ্গে পড়তে থাকে বাজ। সেই সময় মাঠে কাজ করছিলেন তারকেশ্বরের মির্জাপুর এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ চৌধুরী, ভঞ্জিপুর এলাকার সনৎ দাস। বাজ পড়ে তাঁদের উপর। দুজনে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে মির্জাপুরের এক ছাত্র অবিনাশ মান্না এদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তার উপরেও পড়ে বাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রেখা কর্মকার এবং মানসী মান্না নামেও দুই মহিলা বাজ পড়ে জখম হয়েছেন। তাঁরা তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সঙ্গে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়ার হাত থেকে নিষ্কৃতি মেলেনি। আগামী রবিবারের পর দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবারের আগে বর্ষা দেখা মিলবে না দক্ষিণবঙ্গে। বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করলেও থমকে আছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। আপাতত মালদহের উপরে তার অবস্থান। ১৮ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে পারে মৌসুমি বায়ু এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
আরও পড়ুন: Youtube | বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইউটিউবের এই ফিচার
কলকাতায় দিনভর চরম ভোগান্তি। বেলা যত বাড়বে অস্বস্তি ততটাই বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের ছয় জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে রবিবার পর্যন্ত। বাকি জেলাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। বাকি জেলাতেও চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া গরম বাড়বে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ কোথাও বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে রবিবার পর্যন্ত। শনি ও রবিবার অস্বস্তি আরও চরমে উঠবে। বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। শুক্র ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা থাকবে মুর্শিদাবাদ নদিয়া এবং বীরভূম পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। বাকি জেলাতেও হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে সোমবার থেকে।
উত্তরবঙ্গে আরও চার-পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে ১৭ জুন, শনিবার পর্যন্ত। আগামী চার-পাঁচ দিন পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ধসের সম্ভাবনা থাকছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। পার্বত্য পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে।