এটিকে মোহনবাগান–২ রাজস্থান ইউনাইটেড–৩
(কিয়ান নাসিরি, আশিক কুরিয়ান) (আমানজেলদিয়াভ, রেমসাঙ্গা, নিকুম)
অবিশ্বাস্য অঘটন। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে হেরেই গেল এটিকে মোহনবাগান। শনিবারের সল্ট লেক স্টেডিয়াম দেখল দুবার লিড নিয়েও শেষ মুহুর্তের গোলে হেরে গেল জুয়ান ফেরান্দোর দল। রাজস্থান ইউনাইটেড নেহাতই আই লিগের দল। আর এটিকে মোহনবাগান তিন বারের আই এস এল চ্যাম্পিয়ন। দু দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তার উপর মোহনবাগান এবার খুব জাঁকিয়ে টিম করেছে। বিদেশি এবং স্বদেশী মিলিয়ে তাদের টিম খুবই শক্তিশালী। সেই টিম নিজেদের সমর্থকদের সামনে দু বার লিড নিয়েও হেরে যাবে এটা অবিশ্বাস্য লেগেছে সমর্থকদের কাছে। কিন্তু এটাই বাস্তব।
মোহনবাগান কোচ ফেরান্দো এই মরসুমের জন্য চারজন অধিনায়ককে বেছে নিয়েছেন। এদের দুজন স্বদেশী, দুজন বিদেশি। প্রীতম কোটাল এবং শুভাশিস বসু হলেন দুই স্বদেশী অধিনায়ক। আর জনি কাউকো এবং ফ্লোরেন্তিন পোগবা হলেন দুই বিদেশি অধিনায়ক। এদিনের ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন প্রীতম। আর ডিফেন্সে ছিলেন পোগবা। মাঝ মাঠে ছিলেন কার্ল ম্যাকহিউ এবং জনি কাউকো। সামনে লিস্টন কোলাসো এবং কিয়ান নাসিরির সঙ্গে ছিলেন হুগো বুমো। প্রথম ম্যাচেই জার্সি পেয়েছেন আশিক কুরিয়ান। শুরু থেকেই রাজস্থানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনবাগান। একাধিক গোলের সুযোগ তৈরি করে ফেললেও গোল হয়নি। রাজস্থানের গোলকিপার নীরজ কুমার দুর্দান্ত খেলে আটকে রেখেছিলেন নিজেদের গোলকে। শেষ পর্যন্ত ৪৩ মিনিটে মোহনবাগান গোল করে এগিয়ে যায়। হুগো বুমো কাউন্টার অ্যাটাকটা শুরু করেন। তাঁর পাস ধরে দৌড় শুরু করেন আশিক কুরিয়ান। আশিকের সেন্টার ঠিক খুঁজে পায় কিয়ান নাসিরিকে। মরসুমে মোহনবাগানের হয়ে প্রথম গোলটি করেন জামশিদ নাসিরির ছেলে। কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে গোল শোধ করে দেয় রাজস্থান। মোহনবাগান উইং ডিয়ে ছুটতে শুরু করেন নেইসিয়াল। তাঁর ক্রসে হেড করে গোল করেন আমানজেলদিয়েভ। বিরতিতে ম্যাচের ফল রইল ১-১।
বিরতির পর গোল করার জন্য দ্বিগুণ উৎসাহে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনবাগান। ৪৭ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় তারা। হুগো বুমোর ফ্রি কিক রিসিভ করেই দুরন্ত শটে গোল করেন আশিক কুরিয়ান। বাগানের হয়ে প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন এই দক্ষিণী তারকা। ৫৯ মিনিটে পোগবা তুলে নেন ফেরান্দো। মাঠে নামেন শুভাশিস বসু এবং আশিস রাই। একটু পরেই গোল শোধ করে দেয় রাজস্থান।রাজস্থান কর্নার পায়। কর্নার থেকে রাজস্থানের শট আটকে দেন বাগান গোলকিপার আর্শ আনোয়ার। এর পর মোহনবাগান এক তরফাভাবে আক্রমণ চালিয়ে যায়। কিন্তু রাজস্থানের ডিফেন্স এবং তাদের গোলকিপার নীরজ কুমার দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যান। শেষ পর্যন্ত সংযুক্ত সময়ের পাঁচ মিনিটে জয়ের গোল পেয়ে যায় রাজস্থান। জ্ঞানমার নিকুম গোল করে রাজস্থানকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। বি গ্রুপের এই ম্যাচে মোহনবাগান হেরে গেলেও এখনও তাদের তিনটি ম্যাচ আছে। সেই ম্যাচগুলোতে জিতলে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারবে। পরের তিনটে ম্যাচে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হল মুম্বই সিটি এফ সি, ইমামি ইস্ট বেঙ্গল এবং ইন্ডিয়ান নেভি।