আসানসোল: কম্বল বিতরণ কাণ্ডে মামলা দায়ের। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার করল আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। একইসঙ্গে চৈতালির ঘনিষ্ঠ বিজেপি কর্মীদের নামেও অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। তবে অভিযোগে নাম নেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ইতিমধ্যে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকন্তম। বৃহস্পতিবার তাঁদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে পুলিশি হোফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। ডিসি ওয়েস্ট অভিষেক মোদির তত্বাবধানে গোটা ঘটনার তদন্ত করছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। এলাকায় এখনও চাপা উত্তেজনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনয় মামলা করেছে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত আসানসোল কাল্লারের বাসিন্দা ঝালি বাউরীর ছেলে সুখেন বাউরী।
তবে এই মামলার দায়ের প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে তৃমমূল। পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক তথা মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, কর্মসূচি ছিল বিজেপির। এর মধ্যে তৃণমূল কোথায় এল? তৃণমূল এর সঙ্গে জড়িত নয়।
অন্যদিকে, বোনের মৃত্যুর জন্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও চৈতালি তিওয়ারিকে দায়ী করছেন দাদা বিকাশ সিং। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে বোন প্রীতি সিংয়ের মৃত্যু হয়। এর জন্য বিজেপির চৈতালি তিওয়ারি, জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং বিকাশ গুপ্তাকে দায়ী করলেন প্রীতির দাদা বিকাশ সিং। এমনকী ঘটনার পর বিজেপির তরফে কেউ খোঁজ নিতে আসেনি। যদিও মৃত ও আহতদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। মৃতদের পরিবারদের ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:Karnataka Girl: এক লাথিতেই কুপোকাত ধর্ষণকারী, কী আছে স্কুলছাত্রীর তৈরি জুতোয়?
আসানসোলের ঘটনায় আয়োজকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত কমিটিতে ডিসি ও এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকেরা রয়েছেন। বুধবার আসানসোলে শিবচর্চা স্থলে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপৃষ্ট হয়ে এক নাবালিকা সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেইে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে।
