কলকাতা: ভোট শুরু হয়ে গিয়েছে চন্দননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগরে। যেন আক্ষরিক অর্থেই হাইভোল্টেজ। আজ রীতিমত ডার্বি। এ ডার্বি মাঠের নয়। রাজনীতির ময়দানের। দিনটা শুরু হল ৪ পুরনিগমের নির্বাচন দিয়ে। সে তালিকায় রয়েছে বিধাননগর, শিলিগুড়ির মত হাইভোল্টেজ এলাকা। আর সন্ধেয় কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম জরুরি বৈঠক।
ভোটের ফল কী হবে, তা জানা যাবে আরও দুদিন পর, সোমবার। আজকে শুধুমাত্র ভোটদান। ভোটের উসবকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে কালীঘাটের বৈঠক। বিশেষ করে যখন দলের সর্বময় কত্রী এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের মতামতের মধ্যে কোথায় যেন একটা বিভাজিকা দেখা দিচ্ছে! দল যেন ক্রমেই দুই গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ কর্মী থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব, কোথায় যেন একটা অনিশ্চয়তা কাজ করছে। যদিও মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার দাবি করেছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার সুসংগঠিত। এখানে কোনও অন্য বিভাজিকা নেই। বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে।
বিভেদের ছবিটা কখনও সামনে আসছে আইপ্যাককে কেন্দ্র করে। কখনও আবার পুরভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে। কখনও আবার দলের নির্দেশ অমান্য করে কোনও কোনও নেতার ফেসবুক লাইভ-প্রকাশ্যে বিবৃতি নিয়ে। পরিস্থিতি যে জটিল হচ্ছে তা হয়ত আঁচ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার যখন এখ ব্যক্তি, এক পদ বিতর্কে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তখনই এই জরুরি বৈঠকের নির্দেশ। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক। যেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মত নেতারা।
আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022 Live: ভুয়ো ভোটার ধরলেন বিধাননগরেও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী
সকাল থেকেই ভোট শুরু হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু অভিযোগ শোনা গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন এবং পুলিস কতটা সুষ্ঠ ভাবে ভোট পরিচালনা করা যায়, তা দেখিয়ে দিচ্ছেন সকাল থেকেই। বিরোধীদের যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দেওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ, তৃণমূল-সরকার সফল। এবার পরবর্তী পরীক্ষা তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক দলের। কীভাবে সব সমস্যার সুষ্ঠ সমাধান করা যায়, সেটাই লক্ষ্য নেত্রী মমতার। যেভাবে একক নেতৃত্বে, একক ক্যারিশমায় দলকে সর্বভারতীয় করেছেন, আজ সেই নেত্রীয় দিকেই তাকিয়ে গোটা দল। কীভাবে দলের বিরুদ্ধে ওঠা বিভেদের অভিযোগ মুছিয়ে দিতে পারেন তিনি।