পাটনা: আবারও বিহারে বিষাক্ত মদ (Poisonous Liquor) খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মতিহারি জেলায় বিষাক্ত মদ খেয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে ৬ জন। সূত্রের খবর, অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কিছুদিন আগেও বিহারের সরন জেলায় বিষমদ খেয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর গুজরাতেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে ।
এবার মোতিহারির লক্ষ্মীপুর, পাহাড়পুর, হরসিদ্ধি ব্লকের বেশ কিছু গ্রামে বিষমদের বলি হলেন আট জন। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তার রিপোর্ট এলে আসল ঘটনা জানা যাবে বলে রাজ্য প্রসাসনের এক মুখপাত্র জানান।
২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তারপরেও বিহারে বিষমদ খেয়ে বেশ কয়েকবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সরনে বিষমদে বহু মানুষের মিত্তুর পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এরপরেও যদি মানুষের টনক না নড়ে তাহলে আর কী করা যাবে? মানুষ মদ খাবে আর মরবে। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার মদ নিষিদ্ধ করলেও , মদ খাওয়া নিষিদ্ধ করতে পারেনি, তাই এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
বিহারে (Bihar) মদ নিষিদ্ধ হলেও রাজ্যে তৈরি হচ্ছে কাঁচা মদ। নিষেধাজ্ঞার কারণে এর চাহিদা বেড়েছে। অনেক সময় নেশার দোহাই দিয়ে মানুষ নিজের জীবন নিয়ে খেলা করতেও বাদ যায় না। জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা বলছে যে বিহারে প্রায় ১৫ শতাংশ লোক রয়েছে যারা নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন মদ পান করেন।
আরও পড়ুন: Will Appear infront of CBI Says Kejriwal | ইডি, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি কেজরিওয়ালের
নকল মদ থেকে কেন বিষক্রিয়া হয়?
বিহারে মদ নিষিদ্ধ থাকায় মদের চাহিদা অনুযায়ী যোগান নেই, সঙ্গে বেআইনিভাবে যে মদ পাওয়া যায় তার দাম প্রচুর, তাই দাম কমাতে আসল মদের সঙ্গে মিথাইল অ্যালকোহল মেশানো হয়। তা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। মাত্রা একটু বেশি কম হয়ে গেলেই এটি শরীরের উপর সাংঘাতিক প্রভাব ফেলে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এতে অনেকের মৃত্যুও হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।