কলকাতা: মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে কোনওভাবেই বঞ্ছিত করা চলবে না। একটি হেভিয়াস কর্পাস মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী দুই কন্যার পিতাকে কড়া ভর্ৎসনা করে তাদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থাপনার নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রের খবর, বর্ধমানের দুবরাজদিঘির বাসিন্দা আসরাফ কুরেশির দুই মেয়ে। বড় মেয়ে শাবানা কুরেশি(নাম পরিবর্তিত) এবং ছোট মেয়ে মৌলানা কুরেশি(নাম পরিবর্তিত)। শাবানা কলেজ পড়ুয়া, মৌলানা উচ্চমাধ্যমিক পাশ। গত ১২ এপ্রিল দুই বোন নিখোঁজ হয়ে যান। বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা। পরবর্তীকালে আসরাফ করেন, পুলিশ সছিকভাবে ঘটনার তদন্ত করছে না। ২৯ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টে আসরাফ হেভিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই পুলিশ গুজরাতের মণিগড় থেকে দুই বোনকে উদ্ধার করে। তাঁদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন: Baguiati: ছেলে নেশা করত জানলেন কী করে, সৌগতকে তোপ বাগুইআটির পুত্রহারা বাবার
আদালতে গোপন জবানবন্দিতে দুই বোন জানান, বাড়িতে বাবা-মা তাঁদের পড়াশোনা করতে দিতে চান না। আপত্তি উড়িয়ে দুজনের বিয়ের তোড়জোড় করা হয় পরিবারের তরফে। গুজরাতে দুই বোন একটি দোকানে কাজ করতেন। শাবানা সেখানে একটি কলেজেও ভর্তি হন।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ফের মামলা ওঠে। বিচারপতি চক্রবর্তী বলেন, মেয়েদের সঙ্গে আবেদনকারী যে ব্য়বহার করেছেন তা কখনওই সমর্থন যোগ্য নয়। বাবা-মাকে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতেই হবে। সেই সুয়োগ থেকে কখনও তাদের বঞ্চিত করা যাবে না। ডিভিশন বেঢ্চের নির্দেশ দুই বোনকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাঁদের পড়াশোনায় কোনওভাবেই ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না।