বনগাঁ: পেট্রোপোল সীমান্ত থেকে উদ্ধার কোটি টাকার সোনা। কাপড়ের ভিতর লুকিয়ে ২.১৪৫ কেজি ওজনের সোনা নিয়ে যাচ্ছিলেন একজন বাংলাদেশী মহিলা পাচারকারী। সেই সময় সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের অধীনে আইসিপি পেট্রাপোল, ১৪৫ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা তাকে আটক করেন। ওই পরিমান সোনার আনুমানিক মূল্য ১,২৯,৩২,১৩৩/- টাকা। ২.১৪৫ কেজি ওজনের সোনার মধ্যে ছিল ২৭ টি বিভিন্ন ধরণের সোনার বার।
ভারতীয় আইসিপি পেট্রাপোলে নিযুক্ত বিএসএফ মহিলা জওয়ানরা বিএসএফ গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য পায় যে এক বাংলাদেশী নারী চোরাকারবারি সোনা নিয়ে টার্মিনারেল রাস্তা দিয়ে ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশ করতে চলেছে। তার পরেই সন্দেহভাজন ওই মহিলা যখন ওই মহিলা টার্মিনালে পৌঁছয় তখন বিএসএফের মহিলা গার্ডরা তাকে আটকায় এবং তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালানোর পর তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৭ টি বিভিন্ন ধরণের সোনার বার। সেগুলিকে সে কাপড়ে মুড়ে কোমরে বেঁধে রেখে ছিল। তার পরেই আর দেরি না করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মহিলাকে জওয়ানরা ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। বিএসএফ সূত্রের খবর আটক নারী পাচারকারীর নাম মানিকা ধর (৩৪)। তিনি বাংলাদেশর চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly | Supreme Court | সব নয়, দুটি মামলা থেকে সরানো হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে
এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, পাচারকারী হিসেবে এটাই তার প্রথম কাজ। যে সোনার বিস্কুটগুলি পাচার করছিল, সেগুলি তাকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা সুমন ধর নাম এক ব্যক্তি দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ভারতে পৌঁছানোর পরে, তিনি বারাসতের এক অজানা ব্যক্তির কাছে এই সোনার বিস্কুটগুলি পৌঁছে দিতে। আর এই কাজটি করতে পারলে পারিশ্রমিক হিসেবে সে ২০০০ টাকা পাবে।
শুক্রবারের ঘটনার পর, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করে যে যদি তাদের নজরে সোনা চোরাচালান সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তাহলে তারা বিএসএফের সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করেন। তার জন্য ১৪৪১৯ এ রিপোর্ট করতে পারেন। এছাড়াও ৯৯০৩৪৭২২২৭এই ফোন নম্বরে স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজও পাঠানো যাবে। এমনকী, সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।