কলকাতা: বছর শেষ ও নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যে একাধিক উৎসব৷ এই উৎসবকে নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন৷ কারণ, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন৷ ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে৷ তাঁরা হয় দেশের বাইরে থেকে রাজ্যে এসেছেন৷ অথবা ভিন রাজ্য প্রবেশ করেছেন৷ ফলে, তাঁদের থেকে কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়াতে না পারে তার জন্য সতর্ক রয়েছে সরকার৷ সোমবার নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও ওমিক্রন উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে৷
প্রয়োজন অনুযায়ী ‘রেস্ট্রিকশনে’ যেতে হতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন৷ সেই ‘রেস্ট্রিকশনে’ কী তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷ অনেকেরই ধারনা রাজ্যের করোনাবিধি নিষেধের কথা বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন নবান্নে তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে কেরিয়ার নিয়ে চলে আসছে৷ ফলে আমাদের হয়তো আবারও ‘রেস্ট্রিকশনে’ যেতে হতে পারে৷ সতর্ক থাকতে হতে পারে৷’
বাইরে থেকে অনেকে ট্রেন অথবা বিমানে চেপে রাজ্যে আসছেন৷ তাঁদের সংস্পর্শে আসছে অগণিত মানুষ৷ তাঁরা যে সংক্রমিত হবেন বা হচ্ছেন না তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না বলেও মত বিশেষজ্ঞদের৷ এই মুহূর্তে সেদিকেই খেয়াল রাখতে চাইছে প্রশাসন৷ বিশেষ করে গঙ্গাসাগর মেলার মতো ঐতিহ্যাবাহী উৎসবে দেশের বহু রাজ্য থেকে হাজার হাজার মানুষ সামিল হন৷ যদিও সন্দেহভাজনদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকছে৷ এমনকি, গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়াও ধর্মতলা চত্বরে করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সর্বোপরি, ওমিক্রন আটকাতে রাজ্য প্রশাসন প্রস্তুত থাকতে চাইছে৷ যার স্পষ্ট ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে৷ তিনি বলেন, ‘কোভিডটাকে মাথায় রেখো৷ বাইরে থেকে আসছে অনেকে৷ আমাদের হয়তো কিছু কিছু ‘রেস্ট্রিকশনে’ যেতে হতে পারে৷ এটা আমাদের দেখতে হবে৷ প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে৷’ তবে, এই মুহূর্তে উদ্বেগের কিছু নেই বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন৷
প্রশ্ন রাজ্য প্রশাসন যদি ‘রেস্ট্রিকশনে’ যায়, তাহলে কী কী হতে পারে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রেন বাসে আগে কোপ পড়তে পারে৷ সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলিতে অর্ধেক সংখ্যক কর্মী নিয়ে কাজ করানোর নির্দেশ দিতে পারে ইত্যাদি৷ কিন্তু যতক্ষণ না সরকার কোনও কিছু ঘোষণা করছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়৷