বসিরহাট: মৃত তৃণমূল (TMC) কর্মীর দেহ গ্রামে ফিরতেই বিক্ষোভ ফেটে পড়লেন গ্রামবাসীরা (Villagers)। রাস্তায় মৃতদেহ রেখে প্রতিবাদ চলে। বসিরহাট (Basirhat) পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশপুরে খুন হন তৃণমূল কর্মীর (TMC Worker) সিরাজুল মোল্লা (৩২)। জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগানো কেন্দ্র করেই খুন হন তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার ভোররাতে এলাকায় মৃতদেহ ফিরতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ঘটনার সূত্রপাত, ১৯ সেপ্টেম্বর। জমিতে তৃণমূলের পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল কর্মী সিরাজুল মোল্লা। তাঁকে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার গভীর রাতে সিরাজুলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চৌরা এলাকায়।
আরও পড়ুন: কাটল জট, শনিবারই রাজভবনে শপথ নির্মলের
মৃত যুবকের মা নুরুন্নাহার খাতুন ঢালি বলেন, আমার নিজের জমি। সেই জমিতে জোর করে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী পতাকা লাগিয়ে পার্টি অফিস করার চেষ্টা করছিল। আমার ছেলে প্রতিবাদ করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমরাও তৃণমূল করি। সরকারি অনুদান পেয়েছি সেই জমিতে ঘর করব বলে।
মৃতের স্ত্রী শাহনাজ বিবি বলেন, আমাদের এক বছরের সন্তান রয়েছে। সরকারি ঘর আর হল না। যারা আমার স্বামীকে খুন করল, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ইতিমধ্যে, তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, জমি দখলের চেষ্টা করে তাঁকে মারধর করা হয়েছে নাকি পুরনো শত্রুতার জের, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রবিন সর্দার নামে এক দুষ্কৃতীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী শাহানাজ বিবি।
দেখুন আরও অন্য খবর: