রামপুরহাট: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবারই বগটুই হত্যালীলার (Rampurhat Violence ) তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই (CBI)। শনিবার সকাল সকালই তদন্তে নেমে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সকাল ১০টা ৫০ নাগাদ সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা রামপুরহাট থানায় পৌঁছন। তার কিছুক্ষণ আগে থানায় আসেন সিটের সদস্যরা। সূত্রের খবর, মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করবেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সিটের সদস্যদের সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা।
বগটুইকাণ্ডের তদন্তে ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের বিশাল টিম শুক্রবার রাতেই রামপুরহাটে পৌঁছয়।তদন্তকারী দলে রয়েছেন ৩০ জন। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই বীরভূমের পুলিস সুপারকে ই-মেল করে এফআইআর, অভিযোগপত্রের কপি চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত তা পাঠিয়েও দেয় বীরভূম জেলা পুলিস। জেলা পুলিসের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ২২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। সিবিআই ধৃতদের আজ থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বগটুই কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইকে সবরকম ভাবে সাহায্য করতে হবে সিটকে। সেকারণেই সিবিআইয়ের আসার খবর পেয়েই এদিন সকালেই রামপুরহাট থানায় পৌঁছে যান সিটের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: এখনও থমথমে বগটুই, আজ গ্রামে যাচ্ছে সিবিআই
সিবিআই আধিকারিকদের আসার আগেই এদিন সকালে বগটুই গ্রাম পরিদর্শন করেন আইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) ভরত মিনা। বীরভূমের জেলা পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী তাঁর সঙ্গে ছিলেন। এদিকে শুক্রবারের পর শনিবারও সিবিআইয়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক টিম। শুক্রবার সোনা শেখের বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। সোনার বাড়ি থেকেই মঙ্গলবার সকালে ৭টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিস।