কলকাতা: শোকস্তব্ধ আপামর বাঙালি৷ ব্যথিত বিনোদন জগত৷ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকে মুহ্যমান সঙ্গীত মহল৷ শিল্পী হৈমন্তী শুক্ল জানান, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় তাঁর কাছে তাঁর মায়ের মতন ছিলেন৷
হৈমন্তীর কথায়, ‘‘সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে আমি শোকস্তব্ধ৷ মায়ের মতন ছিল আমার কাছে৷ আমি তাঁর ভালবাসা পেয়েছি৷ আতিশয্য হারাব না৷ শূন্যতার সৃষ্টি হল৷ এই ক্ষতিপূরণ হওয়ার নয়৷ ’’
সন্ধ্যার মৃত্যুর খবরে কেঁদে ফেললেন শিল্পী ঊষা উত্থুপ৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ভেবেছিলাম উনি সুস্থ হয়ে যাবেন। তবে তা হল না। সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।’’
শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এটা একটা যুগের অবসান। লতা মঙ্গেশকরের পর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এক অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।ডায়মন্ড হারবরের সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে বাংলা সঙ্গীত জগতে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে৷
গত ২৬ জানুয়ারি, বুধবার সন্ধ্যা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রবাদ প্রতিম সঙ্গীতশিল্পী। ২৭ জানুয়ারি এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। তড়িঘড়ি গঠিত হয় মেডিক্যাল বোর্ড। এর পর গীতশ্রীর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে অ্যাপোলোতে স্থানান্তরিত করা হয়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, আজ রাতে তাঁর দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামিকাল, বুধবার ১২টা থেকে রবীন্দ্রসদনে দেহ থাকবে। গীতশ্রীর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মমতা বলেন, আর কেউ গাইবে না, তীর বেঁধা পাখি…। আধুনিক গানের এক মাইলস্টোন ছিলেন তিনি।