কলকাতা: বকেয়া ডিএ (DA) নিয়ে শুক্রবার বিকেলে রাজ্য সরকারের (WB Govt) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ (Joutho Sangrami Mancha)। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টের সময় নবান্নে (Nabanna) এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি নোটিসও জারি করেছে নবান্ন। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় অনেক কর্মী সংগঠনই অংশ নিতে চাইছে। শুধু ছয় নয়, অন্যান্য সংঠননের সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানাল রাজ্য। এদিন বৈঠকে ছ’জন ছাড়াও অন্যান্য সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত থাকতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে সরকারি কর্মচারীদের তরফে ৫ জন থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৬ জন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। যাঁরা আসতে চান সবাইকে স্বাগত। কিন্তু একটি সংগঠনের তরফে একজনই থাকতে পারবে। রাজ্যের এই আবেদনে সম্মতি দিয়ে আদালত।
আরও পড়ুন:Starship | সফল হল না মাস্কের স্বপ্নযান, মাত্র ৩ মিনিটেই মাঝ আকাশে বিস্ফোরণে টুকরো স্টারশিপ
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)-র নির্দেশ ছিল, ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ডিএ আন্দোলনকারীদের (DA Agitators) সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার বৈঠকের ব্যাপারে কোনও রা কাড়েনি। এই অবস্থায় আদালত এদিন ফের নির্দেশ দেয়, ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে ডিএ নিয়ে কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে হবে। গত সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশ দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলা বিচারাধীন। আশা করা যায়, এই অবস্থায় কর্মচারী সংগঠন আর কর্মবিরতির পথে যাবে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি মুলতুবি হয়েছে। কেন? ওখানে কবে শুনানি? এর মধ্যে আবার পেন ডাউন হবে না তো? ইউনিয়নের কে আছেন? আপনারা কি আশ্বাস দিচ্ছেন? সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ-র দাবিতে মামলা চলে আসছে। আমরা কলকাতা হাইকোর্টে প্রতিবার জয় পেয়েছি। এবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Courrt) গিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে বলেন, কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনায় বসা উচিত। পাশের রাজ্যগুলিতে ডবল ডিজিট ডিএ বাড়ানো হচ্ছে। কর্মবিরতি একটা প্রতিবাদের ধরন। তাঁরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। আপনারা কেউ এই আন্দোলন আটকাতে পারেন না। কিন্তু এটাও মাতায় রাখতে হবে একদিনের কর্মবিরতি সমাজে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, মুখ্যসচিব দ্রুত বৈঠক ডাকবেন। সেখানে সংগঠনের পাঁচজন প্রতিনিধি থাকবেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, ১০ দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারকে অবশ্যই বৈঠক ডাকতে হবে।