কলকাতা: সাময়িক বহিষ্কৃত জয় প্রকাশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিজেপির শক্তি বেড়েছে। দাবি, মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের। মঙ্গলবার পরপর দুটি টুইট করে এই দাবি করেন তথাগত। একই সঙ্গে সরাসরি নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষদের আক্রমণ করেন তথাগত রায়।
প্রথম টুইটে তথাগত রাজ্য বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির কথা বলেন। প্রশান্ত কিশোরের সংস্থায় জয় প্রকাশের ছেলে চাকরি করায় তথ্য পাচারের অভিযোগও করা করেন। টুইটে তথাগত লেখেন, ‘জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল। কিন্তু কি এক পদার্থ জোগাড় করে তাকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল KDSA গ্যাং ! ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত।’
জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল।
কিন্তু কি এক পদার্থ জোগাড় করে তাকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল KDSA গ্যাং !
ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত।— Tathagata Roy (@tathagata2) March 8, 2022
দ্বিতীয় টুইটে নাম না করে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষদের আক্রমণ করেন। দল বদল, সংগঠনের অবস্থা খারাপ ইত্যাদি নিয়ে কৈলাশ-দিলীপদের ভাববার সময় নেই বলেই দাবি করেন তথাগত। তিনি লেখেন, ‘ ‘KDSA গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল।
শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল।
শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই!
যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে !
আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে !’
KDSA গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল।
শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল।
শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই!
যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে !
আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে !— Tathagata Roy (@tathagata2) March 8, 2022
পুরভোটে ফলাফল নিয়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃ্ত্বকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরে নিজেদের ভুল স্বীকার না করেই উল্টোপাল্টা কথা বলা হচ্ছে৷ তারপরে পুরভোটে একই অবস্থা৷ পার্টির হাল আরও খারাপ হল৷ নামতে নামতে রসাতলে পৌঁছচ্ছে৷ আর কত রসাতলে পৌঁছবে কে জানে?’’ ৩০ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ তুলে তথাগতর আরও বক্তব্য, ‘‘৩০ বছর ধরে দল করছি৷ সক্রিয় নেতাদের ভুলের কারণে বিপর্যয় ঘটলে খারাপ লাগে৷’’
সোমবার হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বহিষ্কৃত তিন বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ যা নিয়ে দলের লোকজনই প্রশ্ন তুললে শুরু করেছেন৷ সে বিষয়েও মুখ খোলেন তথাগত রায়৷ নাম না করে কৈলাশ-দিলীপদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘ কামিনী কাঞ্চন ঘটিত কারণে দলে পচন ধরেছিল৷ বিচ্যুতি ঘটেছে৷ পচনের কুফলের কারণে লকেট আজ বৈঠক করেছেন৷ ’’