কলকাতা: ১ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে দুর্গাপুজোর উৎসব। এ বছর ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতিকে কেন্দ্র করে মহামিছিলের মধ্য দিয়ে ১ সেপ্টেম্বর থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়তে চলেছে। এই স্বীকৃতি ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় ঘোষণা করেছিলেন এই মহামিছিলের কথা। সেই মতোই বৃহস্পতিবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে শুরু হতে চলেছে মহামিছিল। শেষ হবে রানি রাসমণি রোডে। মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সম্মানিত করবে রাজ্য সরকার। রাসমণি রোডে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা, থাকবেন বহু বিশিষ্টজন। মিছিলের জন্য স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি বেলা ১টা তেই ছুটি হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্ত পুজো কমিটিকে মহামিছিলের শামিল হওয়ার আবেদনও জানান তিনি। একইভাবে সমস্ত জেলাতেও ইউনেস্কোরর সম্মানপ্রাপ্তিতে মিছিল বের হবে।
আরও পড়ুন: ইডি, সিবিআই নিয়ে পাল্টা প্রচারে নামার নির্দেশ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরে
মঙ্গলবার মহামিছিলের আয়োজন নিয়ে লালবাজারে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক বসে। সেখানে মিছিলের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। পুলিসি ব্যবস্থাকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলি হল জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং রেড রোড। সামগ্রিক দায়িত্বে থাকবেন স্পেশাল সিপি দময়ন্তী সেন। মোট তিন হাজার পুলিসকর্মীকে নামানো হবে। পথে নামবেন ২২ জন ডিসি এবং ৪০ জন এসি। ডোরিনা ক্রসিং এবং গিরীশ পার্কে থাকবে ৫০টি পুলিস পিকেট। মিছিলের গোটা যাত্রাপথে রাস্তার দুই দার বাসের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সেই ব্যারিকেডের বাইরে থেকে সাধারণ মানুষ মিছিল দেখতে পারবেন। মিছিলে ঢাকঢোল, শঙ্খ বাজবে, দেওয়া হবে উলুধ্বনি। সকলকে রঙিন পোশাক এবং রঙিন ছাতা আনতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।