নয়াদিল্লি: ভোটের আগে চার কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করল তৃণমূল। সোমবার দোলা সেনের নেতৃত্বে দশ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করে ওই দাবি করে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, সিবিআই, ইডি, এনআইএ এবং আয়কর দফতরকে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে। তাই ভোটের মুখে বিরোধীদের নানাভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন দোলা সেন, শান্তনু সেন, নাদিমূল হক, সাগরিকা ঘোষ, আবির বিশ্বাস, অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। কমিশনের দফতরের সামনে তৃণমূল সাংসদরা আচমকাই নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দফতরের সামনে বসে পড়েন। পরে তৃণমূলের নেতৃত্বদের মন্দিরমার্গ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, ৫জন বর্তমান ও চারজন প্রাক্তন সাংসদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব কমিশনকে একটি স্মারকলিপিও দেয়। তাতেও অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে দিয়ে বিরোধী নেতানেত্রীদের বিরক্ত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Maitra) বহিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও তাঁকে ইডি, সিবিআই অপদস্থ করছে। তিনি ভোট প্রচারে ব্যস্ত। অথচ বারবার তাঁকে ইডি, সিবিআই ডাকাডাকি করছে। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মহুয়া এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, হয় বিজেপি কর, নতুবা তিহার জেলে যাও। তাঁর এবং তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, যে কোনও সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বাম কংগ্রেসে জোট নিয়ে জটিলতা
গত কয়েকদিন ধরে জেলায় জেলায় নির্বাচনী সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Chief Minister Mamata Banerjee) কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর তৃণমূল নেতা রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে রাজকুমার-সহ তিন তৃণমূল নেতার ঝলসানো দেহ মেলে ঘটনাস্থল থেকে এক কিমি দূরে। আদালতের নির্দেশে এনআইএ ওই ঘটনার তদন্ত করছে। সেই সূত্রেই শনিবার এনআইএ শনিবার ভোরে দুই তৃণমূল নেতাকে ধরতে যায়। তৃণমূল বাহিনী তাদের আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত সেই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়ান। বিভিন্ন সভায় তিনি বলেন, মাঝরাতে ওরা মহিলাদের ঘরে ঘরে অত্যাচার করবে। আর মহিলারা হাতে শাঁখা, বালা পরে বসে থাকবে? তারা নিজেদের ইজ্জত বাঁচাবে না? বেছে বেছে ওরা তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের গ্রেফতার করছে।
অন্য খবর দেখুন