ভাঙড়: তৃণমূলের বুথ কমিটির মিটিংকে কেন্দ্র করে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। আহত উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, সিন্ডিকেটের রাজ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়। ভাঙড়ের হাতিশালা থানা এলাকার কাঁঠালবেড়িয়া বুথে বিভিন্ন কোম্পানির নির্মাণকার্যে কারা ইমারতি দ্রব্য সরবরাহ করবে ও মাঠের দখল কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বলে অভিযোগ। মূলত আরাবুল ইসলাম গোষ্ঠী এবং সওকাত মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় দুপক্ষের বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের জিরেনগাছা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। পরে সেখান থেকে হাতিশালা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন উভয়পক্ষই।
অভিযোগ, ব্যাওতা ২ অঞ্চলের কাঁঠালবেড়িয়া বুথের পঞ্চায়েত সদস্য অমল হালদার ও আরাবুল ইসলামের অনুগামী অপরদিকে তৃণমূল নেতা সঞ্চয় পৈলান তিনি সওকাত মোল্লার অনুগামী বলে পরিচিত। এই দুই দলের মধ্যে এলাকার দখলদারিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাঁধে বুথ কমিটির মিটিংয়ে। ঘটনায় অসিম হালদার,অমিত হালদার ,বিশ্বজিৎ সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তথা আরাবুলের অনুগামীরা আহত হন। অপরদিকে সঞ্জয় পৈলান তথা সওকাত মোল্লার বেশ কয়েকজন অনুগামীও আহত হন। আহতদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান শেখ সাবিরের দলীয় কার্যালয়ে বুথ কমিটি গঠন করার নাম করে ডেকে মারধর করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক প্রাণিসম্পদের কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৮০ রানে জয়ী ভারত
তবে এ বিষয় ব্যাওতা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ সাবির আলি ও প্রাণিসম্পদের কর্মাধ্যক্ষ মমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বলেন, একটি অশান্তি ঘটেছে সেটা জানি। কিন্তু আমার অফিসে বা আমাদের সামনে কিছু হয়নি। যা হয়েছে বাইরে হয়েছে। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করবেন না বলে জানান তিনি।