বারুইপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash) যেন পিছু ছাড়তেই চাইছে না। ফের একবার গোষ্ঠীকোন্দলে নাম জড়াল তৃণমূলের। মঙ্গলবার হাসপাতাল চত্বরে তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর (Jai Hind) সভাপতিকে খুনের চেষ্টা। বারুইপুর (Baruipur) মাদারহাট এলাকার এদিন তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কৃষ্ণেন্দু মণ্ডলকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির মাদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ দে-র অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, সোমবার রাতে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে (Baruipur Hospital) কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক সেই সময় হাসপাতাল চত্বরের সামনে তাঁর উপর কয়েকজন বাইক নিয়ে এসে চড়াও হয়। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বেধরক মারধোর করা হয় তাঁকে। মাথায় গুরুতর চোট পায় কৃষ্ণেন্দু। এরপর হাসপাতাল চত্বরে মানুষজন জড়ো হলে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। কৃষ্ণেন্দুর অভিযোগ কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ দে-র বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি প্রদীপের কাছ থেকে।
আরও পড়ুন:Dawood Ibrahim: দাউদ ফের বিয়ে করেছেন, বাসা বদলে থাকেন করাচির সেনা নিবাসে
উল্লেখ্য, আগামী দুতিন মাসের মধ্যেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হতে চলেছে। কিন্তু তার মাঝেই তৃণমূলের একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে আসছে। এর জেরে যথেষ্ট ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee) বিভিন্ন জেলার নেতাদের অবিলম্বে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিতে নির্দেশও দিয়েছেন। এমনকী কারও পা ধরে পদের লোভ না করারও নির্দেশ দেন অভিষেক। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন। তবু জেলায় জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমার কোনও লক্ষণ নেই। প্রতিদিনই রাজ্যের কোনও না কোনও জায়গায় শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। এই কোন্দলকে রুখতে কী পদক্ষেপ নেয় তৃণমূল তার দিকেই নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।