তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের (Khageshwar Ray) দাদাগিরির সাক্ষী থাকল রাজগঞ্জের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অফিস। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অফিসার তাঁকে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে না দাঁড়ানোয় বেদম চটলেন বিধায়ক। জয়দীপ ঘোষ রায় নাম ওই অফিসারকে এমএলএ বলেন, আপনার ‘বিয়েভার’ দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। আপনি আমার সামনে লাটসাহেবের মতো চেয়ারে বসে আছেন। আমি ডিএম অফিসে গেলে ডিএম পর্যন্ত দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। আপনার দফতরের যে বস, এসডিএলআরও সেও দাঁড়িয়ে আমাকে সম্মান জানায়। আর আপনি বসে আছেন আমার সামনে। আপনি জানেন না আমার কী ক্ষমতা আছে? যাই হোক আপনাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম।
সোমবারের এই ঘটনায় সরকারি অফিসারদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে কোনও অফিসার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে নিজেরদের মধ্যে একান্ত আলোচনায় সরকারি অফিসাররা বলেন, বিধায়কের যদি এই দাপট হয় তাহলে মন্ত্রীরা দাপট দেখবেন না কেন?
আরও পড়ুন: Elephant Attack | খোদ বনদফতর কর্মীর বাড়িতে হাতির তাণ্ডব
দিদির দূত কর্মসূচিকে সামনে রেখে এদিন বিধায়ক দলবল নিয়ে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ধূপগুড়ি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভাইস চেয়ারম্যান, তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ইভান দাস, গ্রামীণ ব্লক সভাপতি দীপু রায়-সহ অন্য নেতারা। দলবল সমেত চেয়ারে বসেই এমএলএ সাহেব ভূমি রাজস্ব অফিসারকে বকাবকি শুরু করেন। ওই অফিসার চেয়ার ছেড়ে উঠে না দাঁড়ানোয় বিধায়ক তাঁকে কড়া ধমক দেন। ধমকের পালা শেষ হলে তিনি মূল কথায় ফায়ার আসেন।
এরপর তিনি সরকারি দফতর পরিদর্শনে যান। পাট্টা সহ জমির বিভিন্ন কাগজ পত্রের বিষয়ে খোজ নিতে। তাঁর বক্তব্য, পাট্টা বিলি নিয়ে সমস্যা ছিল। আমি বিএলআরও কে বলেছি। তবে এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিক দের সামনে কিছু বলেননি।
 দাদাগিরির সাক্ষী থাকল রাজগঞ্জের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অফিস। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব অফিসার তাঁকে দেখে চেয়ার ছেড়ে উঠে না দাঁড়ানোয় বেদম চটলেন বিধায়ক।){kind=link}